চট্টগ্রাম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
শ্রীলঙ্কার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিয়েছে ভারতের পেস বোলার মুহাম্মদ সিরাজ। তিনি ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার আত্মবিশ্বাস চুরমার করে দেন। এরপর বাকি তিন উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। মূলত ৫.৪ ওভারে ১২ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিক শ্রীলংঙ্কা। ৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়েই ৫ উইকেট তুলে নেন সিরাজ। আর শ্রীলঙ্কা সব উইকেট হারিয়ে ৫০ রান তুলে।১ ঘণ্টা ২৯ মিনিট এবং ১৫.২ ওভার স্থায়ী হয় তাদের ব্যাটিং। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই জশপ্রীত বুমরার বলে কুশল পেরেরার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর সিরাজের তাণ্ডব শুরু হয় শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং লাইনাপে। তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ ওভারে তুলে নেন একে একে পাথুন নিশাঙ্কা (২), সাদিরা সামারাবিক্রমা (০), চারিথা আশালঙ্কা (০) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার (৪) মত সেরা ব্যাটসম্যানদের। পরে দাশুন শানাকা (০) ও কুশল মেন্ডিসকে (১৭) বোল্ড করেন মুহাম্মদ সিরাজ। যা তার ক্যারিয়ার সেরা অর্থাৎ ২৯ টি ওয়ানডে ম্যাচে সেরা বোলিং।
জয়ের লক্ষে ৫১ রানের টার্গেট নিয়ে খেলতে নামা ভারত তাদের দুই ওপেনার শুভমন গিল ও ইশান কিষাণ ৬.১ ওভারে জয়ের লক্ষে পৌঁছে যান। কিশান ১৮ বলে তিন চারে ২৩ ও শুভমন ১৯ বলে ছয় চারে ২৭ রান করেন। এতে ১০ উইকেটে জয় নিয়ে অষ্টম এশিয়া কাপ ঘরে তুলে ভারত। মূলত ২২ ওভারেই শেষ হয় এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনাল।
ফাইনালে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ভারতের বোলার মুহাম্মদ সিরাজ।
এই ম্যাচে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০০০ সালে বাংলাদেশ ৮৭ রানে অলআউট হয়েছিল পাকিস্তানের সঙ্গে এশিয়া কাপের ম্যাচে। আর ওয়ানডে ফরমেটে আফ্রিকার সাথে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন রান ছিল ৪৩। অবশ্য এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার ৫০ রান তাদেরকে ওয়ানডেতে সর্বনিম্ন ৩৫ রানের রেকর্ড অতিক্রম করা থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
অবশ্য যে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার আগের ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ভারতকে হারিয়ে একমাত্র সান্ত্ত্বনার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post