চট্টগ্রাম, ১০ অক্টোবর, ২০২৫:
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি যে কোনো অবস্থাতেই মানবিক স্বস্তির বার্তা বহন করে। ট্রাম্পের প্রস্তাবনার পর ইতিমধ্যে মিশরের বৈঠকে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ হয়েছে। ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবনা মূলত তিনটি ধাপে বিভক্ত ছিল।
প্রথম ধাপ: তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি, বন্দি ও আটক বিনিময় এবং মানবিক ত্রাণপথ উন্মুক্তকরণ।
গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় রোধে শান্তি চুক্তির প্রথম ধাপ বাস্তবায়নে গত সোমবার থেকে মিসরের শার্ম আল-শেখে শুরু হয় শান্তি আলোচনা।
আলোচনায় অংশ নেয়- হামাস, ইসরায়েল, তুরস্ক, কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। মিসরের মধ্যস্থতায় এ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল যুদ্ধবিরতি, বন্দিবিনিময় ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ।
৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে জানান, গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম ধাপের শান্তিচুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস।
এরপর ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, শান্তিচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী- ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শোশ বেদ্রোসিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মিসরে (স্থানীয় সময়) সকালে প্রথম দফার শান্তিচুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষর করেছে সব পক্ষ। এ খসড়ার অন্যতম একটি শর্ত- হামাস সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম দফার শান্তিচুক্তি এখন পরিষ্কারভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ৭২ ঘণ্টা পর হামাস সব জিম্মিকে (জীবিত অথবা মৃত) মুক্তি দেবে এবং তারা আমাদের কাছে আগামী সোমবার ফিরবে।
এর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। ১৫৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজা অভিমুখে রওনা হয়েছে। এসব ট্রাকের মধ্যে ৮০টি জাতিসংঘের, ২১টি কাতার সরকারের এবং ১৭টি মিশরের।
গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার সাথে বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন, তিনি গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ দফা পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। সব পক্ষকে আহ্বান জানান শান্তি আলোচনায় বসতে । একই সাথে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, হামাস আলোচনায় রাজি না হলে ইসরায়েল যা খুশি করতে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন থাকবে।
এরপর উভয় পক্ষ রাজী হয় আলোচনায় বসতে। আর প্রথম ধাপে এসেছে সফলতা।