চট্টগ্রাম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২:
বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে সেনাবাহিনীর সাথে পার্বত্য উপজাতি সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় ১ সেনা কর্মকর্তা ও তিন জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এতে এক সেনা সদস্য গুলিতে আহত হয়েছেন। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে সংবাদ মাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছে। নিহত সেনা কর্মকর্তার নাম হাবিবুর রহমান। তিনি সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার। আহত সেনা সদস্যের নাম ফিরোজ। নিহত তিন সন্ত্রাসী জনসংহতি সমিতির সদস্য বলে জানিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হতাহতদের উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে সেনাবাহিনীর সিএমএস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের রুমা উপজেলার রুমা-রাঙামাটি সীমান্তবর্তী দুর্গম বথিপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকাগুলোতে সেনা টহল জোরদার করা হয়েছে।আইএসপিআর জানায়, এ অভিযানে একটি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম এবং ‘চাঁদাবাজির’ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে নিহত সন্ত্রাসীদের পরিচয় জানা যায়নি।
বান্দরবান সেনা রিজিওনের মেজর এরশাদ উল্লা জানান, সন্ত্রাসীদের একটি দল’ রুমা উপজেলার বথিপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি জন্য জড়ো হচ্ছে খবর পেয়ে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবের নেতৃত্বে একটি টহল দল সেখানে যায়। রাত সাড়ে ১০টায় টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছলে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের পাল্টা হামলায় তিন সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ফিরোজ নামে একজন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে সেনা টহল দল উক্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি কার্যক্রম ও স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টহল দিচ্ছে।
আইএসপিআর জানায়, এ অভিযানে একটি এসএমজি, ২৪৯ রাউন্ড গুলি, তিনটি ম্যাগাজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের ৫ রাউন্ড গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম এবং ‘চাঁদাবাজির’ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
২০১৯ সালে সেনা বাহিনীর টহল দলের উপর সন্ত্রাসীদের হামলায় এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছিলেন। গত কয়েক বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠিগুলোর সাথে সেনাবাহিনীর একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
Discussion about this post