চট্টগ্রাম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৩:
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদেও মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধী প্রার্থী ও ভোটারদের নানা অভিযোগের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। আজ সকাল থেকে ভোট পড়েছে ৭৫ হাজার ৩০৫টি। প্রদত্ত ভোটের হার ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ। যার মধ্যে ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মোমবাতি প্রতীকের প্রার্থী স.উ.ম আবদুস সামাদ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৮৭ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ শহর প্রান্তের ১১২টি কেন্দ্রে পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৯ ভোট। বোয়ালখালী অংশের ৭৮টি কেন্দ্রে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ১৩৬ ভোট।
ফলাফল ঘোষণার আগে বিকালে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, সমর্থকদের মারধর ও বুথে বাটন চেপে ভোট নেয়াসহ নানা অভিযোগ তুলে ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন দুইজন প্রার্থী। তবে প্রতিটি কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু ও সুন্দর ভোট হয়েছে বলে দাবি করছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও খুব সুন্দরভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। ভোটগ্রহণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ বলেন, ‘অভিযোগ গ্রহণ করার পরেও রিটার্নিং কর্মকর্তা অভিযোগের বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। রিটানিং অফিসারের ব্যর্থতা এ নির্বাচনকে কলুষিত করেছে। নির্বাচন কার্যক্রমকে অকার্যকর করেছে। সরকার এ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য যথেষ্ট আন্তরিক ছিল। রাজনৈতিক দলের কিছু নেতা পাতিনেতা কথিত জনপ্রতিনিধি এ নির্বাচন এমনভাবে ধুলিসাৎ করেছে, যাতে জাতির কাছে সরকারকে বিতর্কিত হতে হয়। এ কারণে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত রাখার দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত করে পুনরায় একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি করেন তিনি।
ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী কামাল পাশা বলেন, এ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমি ভোট বর্জন করিনি তবে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
নগরীর জিমনেশিয়াম চত্বর থেকে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, আসনটিতে পাঁচ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৫১ জন ভোটার আছেন। ১৯০টি কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭৫ হাজার ৩০৫টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ১৪ দশমিক ৫৫। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন এক হাজার ৮৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপল্স পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী ৬৭৩ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী একতারা প্রতীকের মীর মো. রমজান আলী ৪৮০ ভোট পেয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয় ১৯০টি কেন্দ্রে।
ভোটকেন্দ্রে প্রতিপক্ষের সাথে ঝগড়ার কারণে কয়েকজন আহত হবার খবরও পাওয়া গেছে।
Discussion about this post