চট্টগ্রাম,১৮ এপ্রিল, ২০২৫:
গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নাগরিক স্মরণ সভা ও চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান আজ বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে আয়োজন করা হয়। এতে আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডাক্তার জাফর উল্লাহ চৌধুরীর চিন্তাচেতনা নিয়ে কাজ করছেন। অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্ররফসর মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি জাফর উল্লাহ চৌধুরীর আস্থা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ পনর বছরের কলুষিত মন্ত্রণালয়গুলো থেকে শাসকের মানসিকতা দূর করার চেষ্টা করছি। সেজন্য মন্ত্রণালয়গুলো ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে।
অন্য আলোচক সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ বলেন, ডাক্তার জাফর উল্লাহ চৌধুরীর জীবন রোমাঞ্চকর কাহিনীর মত। তিনি সরল-সত্যের জায়গা সৃষ্টি করেছিলেন। এমন দেশপ্রেমিকদের যতটা আলিঙ্গন করে গ্রহণ করা দরকার ছিল তা বাংলাদেশ তা পারেনি। কোভিডের সময় তার সংগ্রাম ছিল অসাধারণ। তিনি ছিলেন একাকী যোদ্ধা। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি দেশের পরিবর্তনগুলো তীব্রভাবে চাইতেন। তিনি আমাদের মধ্যে আলো জ্বেলেছিলেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যেভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে এদেশে, দেশটাও সেভাবে পিছিয়ে গেছে। সেই রাজনীতি ভুল ছিল বলে ২০২৪ এর বিপ্লব ঘটেছে। তরুণদের এ শিক্ষাটা মাথায় রাখতে হবে। আগের মত রাজনীতি করলে পুরনো ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে।
আলোচকদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডাক্তার রবিউল হোসেন, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ডাক্তার জাফর উল্লা চৌধুরীর সহধর্মিণী শিরিন পারভীন হক, অধ্যাপক ডা. মনছুরুল আলম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি। চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক শেখ মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট ফাহিম শরীফ খানের সঞ্চালনায় এতে ডাক্তার জাফর উল্লাহ চৌধুরীর স্বজন ও শুভার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
Discussion about this post