চট্টগ্রাম, ২০ এপ্রিল, ২০২৫:
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল এনসিটি কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে পরিচালনা করতে হবে। এনসিটি বিদেশিদের পরিচালনা করতে দিলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও হুমকির মুখে পড়বে।
নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল বেসরকারি /বিদেশি মালিকানায় না দিয়ে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার দাবিতে জামায়াতে ইসলামী, চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াত আমীর
শাহজাহান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি পরিচালনার জন্য তুলে দিলে তারা ছাত্রজনতাকে নিয়ে কঠিন আন্দোলন নামার হুঁশিয়ারি দেন। শাহজাহান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ১৮ কোটি মানুষের সম্পদ। বাংলাদেশের মূল অর্থনীতি বন্দর। এ বন্দর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সাথে যুক্ত। চবকের মূল আয় আসে এনসিটি থেকে।
বর্তমানে টার্মিনালে কোনো বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই।
গভীর ষড়যন্ত্র চলছে এনসিটি নিয়ে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তার সাথে যুক্ত। তার কারণেই পতেঙ্গা টার্মিনাল দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থান না হলে এনসিটি এতদিন চলে যেত।
এনসিটি বিদেশি পরিচালনায় চললে
সরকার বিদেশি মুদ্রা বঞ্চিত হবে। এনসিটিতে নিযুক্ত কর্মরত মানুষ চাকরিচ্যুত হবে। দেশের টাকা বিদেশে চলে যাবে। বন্দরের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে। আমাদের নৌ হেড কোয়ার্টার চট্টগ্রাম বন্দরের কাছেই।
তিনি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বর্তমান সময়ের বিনিয়োগ প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ চাই-
বিনিয়োগকারীদের সামিট হয়েছে। চায়নার সাথে বড় বিনিয়োগের চুক্তি হয়েছে। সুতরাং এনসিটি নয় আমরা চাই গ্রিন ফিল্ডে বিনিয়োগ হোক।
এনসিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন নেই।
জনমত যাচাই করা হোক। দেশের সকল জনসাধারণের স্বার্থে। ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এনসিটি রক্ষায় প্রয়োজনে কোনো কঠিন পদক্ষেপ আমরা নেব।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীয়, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নূরুল আমিন, নগর এসিসটেন্ট সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, এসিসটেন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর এবং চট্টগ্রাম-১০ সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডাঃ একেএম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম-১১ সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম-৮ সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ডাঃ মোহাম্মদ আবু নাছের, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস.এম. লুৎফর রহমান, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী ও আমির হোসাইন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব প্রমুখ।
Discussion about this post