চট্টগ্রাম ২৩ মার্চ,২০২২:
নোয়াখালী ও টাঙ্গাইলের ১৭ ও ১৫ বছরের দুই কিশোরী একে অন্যের সাথে পরিচয়ের দুই বছর পর নিজেরা এক সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে নোয়াখালীর কিশোরী গত রবিবার নোয়াখালী থেকে পালিয়ে টাঙ্গাইলের বাসাইলে ফুলকি ইউনিয়নে তার বান্ধবীর কাছে চলে আসে। এবং তারা গার্মেন্টেসে চাকরি করে হলেও দুই জনে এক সঙ্গে বসবাসের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। কিন্তু টাঙ্গাইলে এই কথা জানাজানি হলে টাঙ্গাইলের ওই কিশোরীর পরিবার মেয়ের ঘটনায় লজ্জায় পড়ে যায়। তারপর তারা স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের বিষয়টি জানান। এরপর ফুলকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউএনও নির্দেশে নোয়াখালী থেকে আসা মেয়ের অভিভাবককে এনে এ দুই মেয়েকে নিয়ে মিটিংয়ে বসেন। তারপর উভয়পক্ষের মেয়ের অভিভাবকদের কাছ মুচলেকা নিয়ে দুই মেয়েকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়। দুই কিশোরী যাতে আর কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করতে না পারে সে ব্যাপারে দুই পরিবারের অভিভাবকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই দুই কিশোরী বছর দুয়েক আগে পরিচিত হয়। সেখান থেকে সম্পর্কের ঘনিষ্টতা হবার পর তারা প্রথমবার ঢাকার সাভারে এক আত্মীয়ের বাসায় দেখা করে। এরপর সিরাজগঞ্জের চৌহালিতে এক পরিচিত জনের বাসায় চলে গিয়েছিল।
সেখান থেকে বাড়ি যাবার কিছুদিন পর নোয়াখালীর মেয়ে টাঙ্গাইলে এসে পাকাপাকি ‘বিয়ের’ সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য সেকান্দর আলী স্বপন।
এর আগে গত বছর ৩০ ডিসেম্বর সিলিটের এক কিশোরী গাইবান্ধার এক কিশোরীর(১৬) বাড়িতে বেড়াতে এসে নিজেদের মধ্যে ‘বিয়ের’ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ ব্যাপারে গাইবান্ধার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, উভয়ের পরিবার বাধা দিলে তাদের একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অপরজন ব্লেড দিয়ে হাত কেটে ফেলে। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেই কিশোরীদের দুইজনই ছিলেন ফুটবলার। ফুটবল খেলার সূত্রে তাদের পরিচয়। এবং ফুটবল খেলতে গিয়ে এক সাথে থাকতে তারা ঘনিষ্ট সম্পর্কে জড়ায়। তা থেকে একজন আর একজনকে ‘বিয়ে’ করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠিছিল।
Discussion about this post