চট্টগ্রাম, ৩১ মে, ২০২২:
নেপাল চীন সীমান্তের কাছে বিধ্বস্ত বিমানটির ২০ যাত্রীর মরদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে তাদের শনাক্ত করা যায়নি। অন্য দুইজনের লাশ পাবার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। গত রবিবার হিমালয়ের একটা চূড়ায় ২২ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল। বিমানটিতে দুই জার্মান, চার ভারতীয় এবং ষোলো জন নেপালি নাগরিক ছিলেন।। রবিবার সকালে কাঠমান্ডু ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে পর্যটন শহর পোখারা থেকে উড্ডয়ন পনের মিনিট পর বিধ্বস্ত হয় ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডা ডিএইচসি-6-300 টুইন অটার বিমানটি।
নেপালী সৈন্য ও উদ্ধারকর্মীরা প্রায় চৌদ্দ হাজার পাঁচশ ফিট উচ্চতায় একটি খাড়া ঢালে বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে বিশটি মৃতদেহ উদ্ধার করে। কঠিন পার্বত্য এবং খারাপ আবহাওয়া অনুসন্ধান দলগুলিকে বাধাগ্রস্ত করেছিল-নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ বলেছেন। নেপালি মিডিয়ায় প্রকাশিত একটি ছবিতে ইউনিফর্ম পরিহিত উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে একটি মৃতদেহ সরাতে এবং দড়ি ব্যবহার করে একটি স্ট্রেচারে একটি খাড়া, ঘাসের পাহাড়ে উঠিয়ে নিয়ে যেতে দেখা যায়। “যেখানে খুব ঘন মেঘ রয়েছে,” ঘটনাস্থল থেকে রয়টার্সকে বলেছেন নেত্র প্রসাদ শর্মা, যিনি মুস্তাং জেলার সবচেয়ে সিনিয়র আমলা।,
এদিকে কাঠমান্ডুতে, নিহত নেপালীদের আত্মীয়রা দুর্ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য অপেক্ষা করছেন।
বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একটি টুইটে বলেছে যে নিহতদের আনুষ্ঠানিক শনাক্তকরণ এখনও হয়নি। বিমান দুর্ঘটনায়স্বজন হারানো মণিরাম পোখরেল রয়টার্সকে বলেন, “আমি আমার ছেলের লাশের জন্য অপেক্ষা করছি।” তার ছেলে উৎসব পোখরেল, বিমানটির সহ-পাইলট ছিলেন। নেপালের সেনাবাহিনী সোমবার সকাল পর্যন্ত ধ্বংসাবশেষের কাছে পৌঁছাতে পারেনি।
রবিবার সকালে বিমানটি জোমসম যাওয়ার পথে,মেঘলা আবহাওয়ায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। জোমসম একটি জনপ্রিয় পর্যটন এবং তীর্থস্থান যা পোখারা থেকে প্রায় আশি কিমি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। যেখানে বিমানে সাধারণত বিশ মিনিট সময় লাগে যেতে। কিন্তু বিমানটি অবতরণের পাঁচ মিনিট আগে পোখারা কন্ট্রোল টাওয়ারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। যেখানে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটি বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ একটি হিমালয় শৃঙ্ঘ রয়েছে।