চট্টগ্রাম, ৭ আগস্ট, ২০২২:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধ বিধ্বস্ত পোড়ামাটির বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধু সাড়ে ৩ বছরে যে অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
গতকাল ৭ আগস্ট, রোববার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের যৌথ উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নগরীর আন্দরকিল্লার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চত্ত্বরে আয়োজিত তৃতীয় দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, খুনি জিয়া-মোস্তাকসহ ৭১’এ যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ও পরাজিত শক্তি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এ রকম নারকীয় হত্যাকা- আর ঘটেনি। এ বর্বরতম হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল। শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতার জন্য নয়, সমগ্র বাঙালির স্বপ্ন ও স্বাধীনতা নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। যারা এ ঘটনার নেপথ্যে ছিল কিংবা মদদ দিয়েছে তাদেরকের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
জ্যেষ্ঠ এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু একমাত্র নেতা যিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন। আজ তারই সুযোগ্য কন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে। বর্তমান সময়ে দেশ পরিচালনায় শেখ হাসিনার বিকল্প বা সমকক্ষ কেউ নেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও উদ্দেশ্য হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত দুরদর্শী নেতা ছিলেন। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তিনি আজীবন যুদ্ধ করে গেছেন। যে ব্যক্তি আজীবন দেশের স্বাধীনতা ও এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন তাকেই সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকা-ের শিকার হতে হয়েছে। এ নারকীয় হত্যাকা-ের নেপথ্যে ছিল খুন জিয়া-মোস্তাকরা।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের পর ষড়যন্ত্র থেমে ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই আজ ইতিহাস বিকৃত করছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায় যুক্ত হয়েছিল। যারা স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মদদ দিয়েছে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার এস.এম রশিদুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মাটি ও মানুষকে যেভাবে গভীর ভালোবাসার বন্ধনে উজ্জ্বীবিত করেছিলেন তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। যারা এ দেশের স্বাধীনতা সহ্য করেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করছে।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিট কমান্ডের এই শোকাঞ্জলি ৬দিনের এই শোকাঘ্জলি অনুষ্ঠান ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়। সূত্র: বিজ্ঞপ্তি
Discussion about this post