চট্টগ্রাম, ২৮ আগস্ট, ২০২২:
ভিটে-বাড়ির বিরোধকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়ায় থেকে ইয়াছিন আরাফাত ইমরান (১৮) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে। মারধরে ইমরান অজ্ঞান হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে অপহরণকারীদের অজ্ঞাতে সে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বাজালিয়া বোমাংহাট এলাকা থেকে ইমরানকে অপহরণ করা হয়।
ইমরান চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড দিয়াকুল মাষ্টার পাড়ার কামাল উদ্দীন সওদাগরের ছেলে এবং দোহাজারী জামালুর রহমান খাঁন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি স্কুল এন্ড কলেজের ২০২২সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
ইমরান বলেন, আমি শনিবার বিকালে বাজালিয়া বোমাংহাটে আমার বাবার আরমান স্টোর নামে কুলিং কর্ণার থেকে বের হয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য বাজালিয়া-নতুনহাট সড়কের উপর গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এমন সময় সড়কের উত্তর পাশ থেকে একটি একটি অটো রিক্সায় করে তিন জন এসে আমার মুখ চেপে ধরে আমাকে অপহরণ করে কালিয়াইশের একটি স্কুলের পেছনে বিলে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা বিশেষ করে আমার বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে লাথি, কিল ও ঘুষি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার জ্ঞান ফিরলে তাদের কাছ থেকে কৌশলে পালিয়ে রাস্তায় চলে আসি। এ সময় অপহরণকারী ৩ জনের মধ্যে আমার পাড়ার চাচাত বোনের জামাই ও কালিয়াইশ মাস্টারহাট এলাকার আলী আহমদ ও তার খালাত ভাই মো. আলমগীরকে চিনতে পারি। অন্যজন ছিল অপরিচিত। পরে আমি রিক্সা যোগে এক পথচারীর সহায়তায় আমার বাড়ি দিয়াকুলে চলে যায়।
ইমরান আরো বলেন, অপহরণকারীরা আমার কাছে থাকা একটি দামি মোবাইল ফোন সেট ও চালানি বাবদ ২২হাজার টাকা সহ ৩০হাজার টাকা নিয়ে নেয়।
এ ব্যাপারে ইমরানের বাবা কামাল উদ্দীন সওদাগর বলেন, আমার পাড়ার চাচাত ভাই আবু তাহেরের সাথে ভিটে বাড়িতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিগত ১মাস ধরে বিরোধ চলে আসছিল। প্রায় সময় আমার সাথে আবু তাহেরের তর্কাতর্কি হলেও হাতাহাতিসহ মারামারির ঘটনা ঘটেনি।
এ বিরোধের জের ধরে আবু তাহের, মেয়ের জামাই আলী আহমদকে দিয়ে আমার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করতে চেয়েছিল| এ ব্যাপারে আমি থানায় মামলা করব। কামাল উদ্দীন আরো বলেন, আমার ছেলে বাড়িতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। প্রথমে তাকে কেরানীহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতাল, পরে চমেক হাসপাতালে ২৮নং ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। আজ (রবিবার) সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিয়ে দেয়।
সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, এরকম অপহরণ ও পরে মুক্ত হওয়ার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি এবং থানায় এখনও কেউ অভিযোগ বা মামলাও দায়ের করেনি।
Discussion about this post