চট্টগ্রাম,২৪ জানুয়ারি, ২০২৩:
বান্দরবানে থানচি উপজেলা গহীন অরণ্যে আফিমের ভয়ঙ্কর উপাদান পপি চাষাবাদের সন্ধান পেয়েছে বিজিবি। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে থানচি উপজেলা তিন্দু ইউনিয়নের গভীর অরণ্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ পপি চাষের ক্ষেত দেখতে পায় বিজিবি।
২৪ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সকালে ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলমের নেতৃত্বে ১৫ জনের বিজিবি জোয়ানরা তিন্দু ইউনিয়নের কাইকা খুমি পাড়া এলাকার প্রায় ৫ একর পাহাড়ি জমিতে পপি চাষের সন্ধান মিললে বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে পপি চাষীরা পালিয়ে যায়। কাইক খুমি পাড়া তিন্দুমুখ বিজিবি ক্যাম্প থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার পশ্চিম- দক্ষিণে অবস্থান।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতের বিপুল পরিমাণ পপিখেত ধংস করে বিজিবি। অভিযান শেষে সাংবাদিকদের ৩৮ বিজিবি বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল খন্দকার মুহাম্মদ শরীফ-উল-আলম বলেন, । ধ্বংসকৃত ৫ একর জমিতে চাষকৃত পপি প্রক্রিয়াজাত করলে ২৫০কেজি আফিম উৎপাদিত হতো। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি সাতাশি লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিজিবি বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সেনা রিজিয়নের জোন হিসেবে ‘অপারেশন উত্তরণ’এর আওতায় সেনাবাহিনী কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে। বলিপাড়া ব্যাটালিয়ন সীমান্ত ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ছাড়াও চোরাচালান দমন, অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধ, দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে যথাযথ ও কার্যকরভাবে পেশাদারিত্বের সাথে মাদক নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন, থানচি উপজেলা গহীন অরণ্যে আরও পপি ক্ষেত আছে কিনা সে ব্যাপারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিশেষ টহল দল অভিযান পরিচালনা শেষে জনবল, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে তিন্দুমুখ বিজিবি ক্যাম্প হয়ে ব্যাটালিয়ন সদরে প্রত্যাবর্তন করেছি।
Discussion about this post