চট্টগ্রাম, ২৬ জানুয়ারি,২০২৩:
ইয়াবা ট্যাবলেটের বিশাল চালান সহ ৫ জন পাচারকারীকে আটক করেছে র্যাব-৭। ২ লাখ পিস ইয়াবা নিয়ে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম প্রবেশের সময় ২৬ জানুয়ারি ভোর পাঁচটার দিকে কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা থেকে পাচারকারীদের আটক করা হয়। এসময় তাদের বোটটিও জব্দ করা হয়। র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াবা পাচারকারীরা হল- কুতুবদিয়ার সিকদার পাড়া গ্রামের ছরি আলমের পুত্র নুরুল আবছার (৩২), মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র মোঃ মেহের আলী (৩৯), কক্সবাজারের উত্তর কুতুবদিয়া পাড়ার নুরুল ইসলামের পুত্র আব্দুল হামিদ (৩৭), একই এলাকার মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র মোঃ কালু (২৩) ও কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবু তাহেরের পুত্র রোহিঙ্গা নুরু হাসান (৩৩)।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী টেকনাফের শাপলাপুর এলাকা হতে একটি ফিশিং বোট যোগে ইয়াবা ট্যাবলেটের একটি বড় চালান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে আসছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, ফিশিং বোটটি কক্সবাজার জেলার বদরখালি হয়ে মগনামা দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালি/আনোয়ারার দিকে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে। পরবর্তীতে উক্ত বোটটিকে সনাক্ত করার জন্য র্যাব-৭, চট্টগ্রাম সমুদ্রপথে নজরদারী কার্যক্রম বৃদ্ধি করে এবং সড়কপথে বিভিন্ন ফিশারীঘাটে নজরদারীতে থাকে। একপর্যায়ে বোটটি সুকৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আভিযানিক দল স্থানীয় স্প্রীড বোটের সহায়তায় বোটটিকে ধৃত করার চেষ্টাকালে ফিশিং বোটটি দ্রুত বেগে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানাধীন মগনামা লঞ্চঘাটে থামানো সংগে সংগে তাদের আটক করা হয়।
ধৃত পাচারকারীরা দীর্ঘদিন যাবত টেকনাফের সীমান্ত এলাকা হতে সাগর পথে মাদক জাতীয় দ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসঠিছল বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তারা এলাকায় বিভিন্ন কাজের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মাদক পরিবহন করে আসছিল। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি টাকা।
তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের করা হবে বলে র্যাব জানায়।
Discussion about this post