চট্টগ্রাম,১৪ অক্টোবর, ২০২৩:
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় নগরীর পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়েছে। এসময় অন্যান্যের মধ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নুওে আলম মিনা, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলার ভারপ্রাপ্ত ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুর উদ্দিনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শ্রদ্ধা নিবেদন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সে যুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। কেউ সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, কেউ বা ঘরে আশ্রয় দিয়ে আবার কেউ বা তথ্য কিংবা খাবার দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করেছিল। এদের মধ্যে আর একটা শ্রেণী ছিল যারা দেশে বসবাস করে পাকিস্তানীদের এজেন্ট হিসেবে দেশের মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেশকে স্বাধীন করার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তার আগমুহূর্তে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এজেন্টদের সহযোগিতায় বুদ্ধিজীবী হত্যার নীল নকশা তৈরি করে। তার অংশ হিসেবে তারা প্রায় ১ হাজার ৫’শ দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী হত্যা করে। সেদিন বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, প্রকৌশলী, গবেষক এমনকি প্রগতিশীল লোককেও তার হত্যা করে। বাংলাদেশে বসবাস করে যারা এখনো দেশের স্বাধীনতার ও অগ্রগতিকে মেনে নিতে চায় না, সেই রাজাকার ও রাজাকারের সন্তানদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানান মুক্তিযোদ্ধারা। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে দেশ বিরোধী অপশক্তির অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সর্তক থাকার অনুরোধ জানান তিনি।বিজ্ঞপ্তি