চট্টগ্রাম,৩০ মার্চ, ২০২৫:
আজ বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। কাল সারাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হবে। ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে আজ সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানায়, বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে। সেই প্রেক্ষিতে একই ভৌগোলিক অঞ্চল হওয়ায় বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তান, ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতেও সোমবার ঈদুল ফিতর পালিত হবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এদিকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ রোববার (৩০ মার্চ ) দক্ষিণ চট্টগ্রামের মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপন করছেন। সকাল ১০ টায় মির্জাখীল দরবার শরীফের মাঠে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতের ইমামতি করেন দরবারের বড় শাহজাদা ড. মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান। জামাতে আনুমানিক এক হাজারের অধিক মুসল্লি একসাথে ঈদের নামাজ ও মোনাজাত আদায় করেছেন। নামাজ ও মোনাজাত শেষ হয় পৌনে ১১ টায়।এদিকে নামাজ শুরুর আগে দরবারের পক্ষ হতে দরবার শরীফে আগত মুসল্লিদের নাস্তা পরিবেশন করা হয়।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা, পটিয়া,কর্ণফুলী উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের আকিদার মুসলমানেরা এ ঈদ উদযাপন করছেন।
প্রায় আড়াই শতাধিক বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা।
মির্জাখীল দরবার শরীফের মেঝ শাহজাদা মোহাম্মদ মছুদুর রহমান বলেন, ‘প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল গ্রামে হযরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান (রহ.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যে কোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সব ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা একই নিয়মে সব ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতায় সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে আজ রোববার ঈদ-উল-ফিতরের ঈদের নামাজ আদায় করে ঈদ উদযাপন করছি।
তিনি জানান, মির্জাখীল এলাকা ছাড়াও উপজেলার গারাংগিয়া, সোনাকানিয়া, ছোটহাতিয়া, আছারতলি, সাইরতলি, এওচিয়া, খাগরিয়া, ছদাহা, গাটিয়াডাঙ্গা এবং লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চরম্বা ও চুনতি, বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডেংরা, তৈলারদ্বীপ ও কালিপুর পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, বাহুলী, ভেল্লাপাড়াসহ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ আজ রোববার ঈদুল ফিতরের ঈদ উদযাপন করছেন।এছাড়া চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছেন তারাও আজ ঈদ উদযাপন করবেন।
Discussion about this post