চট্টগ্রাম,৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫:
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আবারও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন- রোহিঙ্গাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করে রাখাইন রাজ্যে প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমার এবং আরাকান সেনাবাহিনীর উপর চাপ প্রয়োগ করতে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চলমান জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি বিষয়ক উচ্চ-স্তরের সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় এ আহ্বান জানিয়ে তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সাত দফা প্রস্তাব পেশ করেন।
১. রাখাইনে যুক্তিসঙ্গত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে জন্য একটি বাস্তব রোডম্যাপ তৈরি।
২. রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করতে এবং তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার এবং আরাকান সেনাবাহিনীর উপর কার্যকর চাপ প্রয়োগ করা।
৩. রাখাইনকে স্থিতিশীল করার জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন সংগ্রহ এবং স্থিতিশীলতা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক উপস্থিতি স্থাপন। ৪. রাখাইন সমাজ ও শাসনব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের টেকসই একীভূতকরণের জন্য আস্থা তৈরির পদক্ষেপগুললোকে সমর্থন করা।
৫. যৌথ প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার সম্পূর্ণ অর্থায়নের জন্য দাতাদের অবদান একত্রিত করা।
৬. প্রধান উপদেষ্টা জবাবদিহিতা এবং পুনরুদ্ধারমূলক ন্যায়বিচার অনুসরণ। আহ্বান জানান।
৭. মাদকনির্ভর অর্থনীতি ভেঙে ফেলা এবং সীমান্ত-আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবেলার প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্বারোপ।
সাত দফা প্রস্তাবের পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবাসনই এই সংকটের একমাত্র সমাধান। তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ শুরু করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, চীন, পাকিস্তান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ প্রায় ৭০টি দেশ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মতো পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্মেলনে যোগ দেয়।