চট্টগ্রাম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫:
চীনের মদতে নেপালে চলা কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন চীনের হাতের পুতুল সরকারকে কার্যত ঝেঁটিয়ে বিদায় করলো নেপালের আন্দোলনকারী উন্মত্ত জনতা।
পালিয়ে প্রাণ বাঁচালো কেপি শর্মা ওলি। চীনের গালে সপাটে কষে থাপ্পড়!
পিছনে মার্কিন ডিপ স্টেটের খেলা থাকলে-
এটা চীনের পক্ষে বড়ো ধাক্কা- খুবই লজ্জার কথা!
আমেরিকার হাতের এমন বেমক্কা থাপ্পড় খেয়ে কার্যত মুখ বুজে হজম করতে হচ্ছে শি জিন পিংকে!
এটা চীনের পক্ষে বড়োই অসম্মান জনক!
কোথায় ছিল তাদের ইন্ট্যালিজেন্স? টোটাল ফেইলিওর! আগাম কোনো খবরই ছিল না! চীনের তৈরি মদতপুষ্ট ওলি সরকারের পতনের আন্দোলনকে আটকানোর মতো কোনো ক্ষমতাই ছিল না চীনের! অসহায়ভাবে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে হলো। থাপ্পড়টা খেতেই হলো!মুখ পুড়লো চীনের!
কুটনৈতিক কৌশলের দিক থেকে চীন কতটা অপরিণত, এখনো কতটা কাঁচা তার নিদর্শন গোটা বিশ্বের মানুষ তাকিয়ে তাকিয়ে সেটাই দেখলো।
কি করলো চীনের ডিপ স্টেট? চীনের ডিপ স্টেট
মার্কিন ডিপ স্টেটের হাতে থাপ্পড় খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়লো! চীনের তাবেদার ওলি তার চ্যালা চামুন্ডা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে চীনের অপদার্থতার দৃষ্টান্তই স্থাপন করলো বিশ্ববাসীর সামনে।
অথচ চীন প্রতিবেশী সব দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে কসুর করেনা! মিয়ানমারে নাক গলাবে, বাংলাদেশে নাক গলাবে, ভূটানে নাক গলাবে, নেপালে নাক গলাবে, পাকিস্তানে নাক গলাবে, শ্রীলঙ্কায় নাক গলাবে, মালদ্বীপে নাক গলাবে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবে, চীনের ডিপ স্টেট এবং শি জিন পিং সব জায়গায় নাক গলিয়ে শেষ পর্যন্ত সব জায়গায় নাক ঘসে মুখ পুড়িয়ে নিজের অপদার্থতা প্রমাণ করেছে!
চীন প্রায় সব ক্ষেত্রেই মার্কিন ডিপ স্টেটের কাছে থাপ্পড় খেয়ে ফিরে এসেছে! লজ্জার কথা!
চীন শিক্ষা নিতে পারে ভারতের কাছ থেকে। ভারতকে দেখেও তো কিছুটা শিখতে পারে চীন! ভারতের অসামান্য কূটনৈতিক দক্ষতা, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভারসাম্য রক্ষা করার অসাধারণ কৌশল ভারতকে ভবিষ্যতে বিশ্বগুরু তৈরি করতে পারে। কিন্তু চীন কোনো দিনই বিশ্বগুরু হতে পারবেনা তার খল চরিত্রের জন্য! চীন আগাগোড়া ধূর্ত, ছল-চাতুরি, মিথ্যাচার বেইমানির ইতিহাসে ভরা! তাই চীনকে বিশ্বাস করা চলে না ।
অন্যদিকে ভারত নেপালে নাক গলায় না, ভূটানে নাক গলায় না, মিয়ানমারে নাক গলায় না, মালদ্বীপে নাক গলায় না, বাংলাদেশে নাক গলায় না, ভারত কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে চায় না।
কিন্তু যদি কেউ ভারতের সাথে চুলকাতে আসে, ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলায়, তাহলে তার সমুচিত জবাব দিতে ভারত সবসময় প্রস্তুত থাকে! ভারতকে দেখে শিক্ষা নিলে চীনেরই মঙ্গল হবে!
বেঈমান চীনকে বিশ্বজুড়ে কেউ ভরসা করে না, এটা চীনের পক্ষে ভালো নয়। পরিবর্তিত বিশ্বের নিরিখে চীন-ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চললে চীন লাভবান হবে। এটা চীনের শি জিন পিং যত তাড়াতাড়ি বোঝেন ততই মঙ্গল।
চীন ভারতের সাথে বন্ধুত্ব বজায় রাখলে ভারত তাদের বিশ্বস্ত বন্ধু হবে!
ভারত আর কয়েক ঘন্টা লড়াই চালিয়ে গেলে পাকিস্তানের একটি বিশেষ জায়গায় মজুত রাখা পারমাণবিক অস্ত্রের ভাণ্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে যেতে পারতো! পাকিস্তান দেশটাই বিস্ফোরণের ধাক্কায় উড়ে যেতে পারতো। কোটি কোটি সাধারণ মানুষের প্রাণ চলে যেতে পারতো!
কোথায় থামতে হবে সেটা ভারত বিলক্ষণ জানে।
এ হলো মোদীর চানক্য নীতির খেলা।
এখন সময় এসেছে চীন ভারত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুক।
সময় বদলাচ্ছে, বিশ্বের পরিস্থিতি বদলাচ্ছে, বিশ্বের সমীকরণ বদলাচ্ছে, নুতন অক্ষ সৃষ্টির সময় এসেছে, এবার নিজের স্বার্থেই চীনকে তার বেঈমান চরিত্র, তার সুবিধাবাদী বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করতে হবে, নাহলে চীন দেশ নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
চীনের সামনে একটাই পথ খোলা আছে- নিজের দেশকে সঠিক ও সম্মানজনক পথে পরিচালনা করুক।
এখনো চীন কারোর কাছেই বিশ্বাসযোগ্য নয়!
পুরন্দর ভট্টাচার্য: রাজনৈতিক বিশ্লেষক