গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুই জন মারা গেছে বলে জানিয়েছেন পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুহাম্মদ তানভীর হাসনাত। তিনি বলেছেন, যারা মা গেছেন তাদের অন্য রোগ ছিল।
তবে এ সময়ের মধ্যে পীরগাছায় প্রায় পঞ্চাশ জন অ্যানথ্রাক্সের রোগী পাওয়া গেছে। তাদের নব্বই শতাংশ সুস্থ হয়েছেন বলে জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
রংপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন রুহুল আমিন জানিয়েছেন, মিঠাপুকুর ও কাউনিয়ায় একই ধরনের রোগী পাওয়া গেছে। এজন্য অসুস্থ গবাদিপশু জবাই ও অসুস্থ প্রাণীর মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
আইইডিসিআর রংপুরের সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আট জনের অ্যানথ্রাক্স সনাক্তের কথা স্বীকার করেছে।
তবে পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত শতাধিক গবাদি পশু মারা গেছে বলে এলাকার লোকজন জানান।
অ্যানথ্রাক্স মূলত গবাদিপশুর রোগ। এটি গবাদি পশু থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হয়। তবে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ হয় না।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত গবাদিপশুর শ্লেষ্মা, লালা, রক্ত, মাংস, হাড়, নাড়িভুঁড়ির সংস্পর্শে এলে মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় বলে চিকিৎসকরা জানান।
ফ্রিজে রাখা গরুর মাংসে অ্যানথ্রাক্সের জীবাণু পাওয়া গেছে ও ছাগলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যানথ্রাক্স – সংবাদ মাধ্যমে খবর এসেছে।
অ্যানথ্রাক্সের লক্ষণ:
মাথা ব্যাথা, জ্বর,বমি বমি ভাব, পেটে ব্যথা, বমি, ক্ষুধামান্দ্য, গুরুতর রক্তাক্ত ডায়রিয়া, ঘাড় ফোলা,স্বরভঙ্গ।