চট্টগ্রাম, ২৮ মে, ২০২২:
কীর্তিমান সাংবাদিক, কলামনিস্ট, কবি, লেখক ও অমর ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি…’ গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে রাজধানী ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে। শনিবার বিকালে ইসলাম ধর্মের সকল নিয়ম মেনে তাকে সমাহিত করা হয়। আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজম্মেল হক। এ সময় এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষযক মন্ত্রী সহ কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া গাফ্ফার চৌধুরীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বিমানবন্দর থেকে নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং সর্বসাধারণের শ্রদ্ধায় সিক্ত হন প্রয়াত এই ভাষাসৈনিককে। এরপর ৩টা ১০ মিনিটে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে আনা হয়। সেখানে জানাজা সমাপ্তির পরে মরদেহ নেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
সেখানে েবিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার ৫৮ বছরের জীবন সঙ্গিনী স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশেই শায়িত করা হয় তার মরদেহ।
নমস্য বাঙালি, কীর্তিমান সাংবাদিক, কলামনিস্ট, কবি ও লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী(৮৭) লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার, ১৯ মে স্থানীয় সময় ৬টা ৫৯ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেছেন। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে রচিত অমর গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো /একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কী ভুলিতে পারি ” এর গীতিকার তিনি। এই গানটি বিবিসি বাংলার জরিপে শ্রেষ্ঠ ২০টি বাংলা গানের মধ্যে তৃতীয় গান হিসাবে বিবিসির শ্রোতারা স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।
সাংবাদিকতা পেশার মধ্য দিয়ে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর উত্থান।
আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯৩৪ সালে ১২ ডিসেম্বর আবদুল গাফফার চৌধুরীর বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানার উলানিয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ত গ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম জোহরা খাতুন। বাবা ওয়াহেদ রেজা চৌধুরী। বাবা ছিলেন রাজনীতি সচেতন এবং ব্রিটিশশাসিত ভারতের কংগ্রেস নেতা। তার পিতা কংগ্রেস নেতা মতি লাল নেহেরুর সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন।