চট্টগ্রাম, ৫ আগস্ট, ২০২২:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমান্ডের উদ্যোগে আজ শুক্রবার বিকালে আন্দরকিল্লা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন চত্বরে শোকাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছয়দিনের শোকাঞ্জলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড যেসব কুশীলবদের মদতে সংঘটিত হয়েছিল তাদের পরিচয় প্রকাশ ভবিষ্যত প্রজন্ম ও বিশ্ববাসীর জন্য অত্যন্ত জরুরি। ইতিহাসের প্রয়োজনে কমিশন গঠন করে সেই খুনিচক্রের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, জিয়া-মোশতাকচক্র বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত ছিল। তারা যে সহযোগিতা করেছে তার প্রমাণ আছে। কোনো ঘটনার প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ প্রমাণ যেমন থাকে তেমনি ঘটনার আলামতও প্রমাণ হিসাবে কাজে লাগানো হয়। হত্যাকারীদের সাথে তাদের সম্পর্ক ছিল তার প্রমাণ আছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান এমপি। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত দু’ একজন আসামিকে শীঘ্রই ফিরিয়ে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অনেককেই এর মধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যেদিন শেখ হাসিনা দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এলেন সেদিন থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের শুরু। কিন্তু অনেক বিচারক বিব্রত হয়ে পড়লেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাল ছাড়েননি। যে কারণে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দেখে যেতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সবাইকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিলো, কারণ তারা ভালো করেই জানতো, বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাদের ধমনীতে প্রবাহিত, তাদের কেউ বেঁচে থাকলে খুনিদের বিচার একদিন হবে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তা হতে দেয়নি। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সব কাজেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অনুসরণ করে পরিকল্পনা করেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর কমান্ডের কমান্ডার মোহাম্মদ মোজাফফর আহমদের সভাপতিত্বে এতে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন,চট্টগ্রামের এসপি এসএম রশিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান হরতাল ডেকে ভাঙচুর ও রক্তারক্তি করলে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি হরতাল ডাকতে পারে, ধর্মঘট ডাকতে পারে, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু অহেতুক যদি যানবাহন বন্ধ করে, আমাদের জনসাধারণের কোনো অসুবিধা সৃষ্টি করে, জানমালের সমস্যা করে কিংবা কোনো রক্তারক্তি, ভাঙচুর করে, তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাজটি সঠিকভাবে করবে।