চট্টগ্রাম,১৫ ডিসেম্বর, ২০২২
অনেক লড়াই করে কাতার বিশ্বকাপে বিস্ময় সৃষ্টিকারী মরক্কো ফাইনাল আসরের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরে। এখন সকল জল্পনা বিশ্বকাপের ফাইনাল আসর নিয়ে। ফাইনালে যাওয়া দুই প্রতিপক্ষ এখন আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। সেমি ফাইনালের প্রথম ম্যাচ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতে আর্জেন্টিনা ও দ্বিতীয় ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে ফ্রান্স ২-০ গোলে জিতে ফাইনালের মঞ্চে পা দিয়েছে।এখন দেখার বিষয় শিরোপাটা উঠে কার হাতে।
কাতারের আল বায়েত স্টেডিয়ামে ১৫ তারিখ রাত ১ টায় শুরু হয় ফ্রান্স বিনাম মরক্কো ম্যাচ। ম্যাচ শুরুর প্রথম থেকেই বোঝা যায় দুই প্রতিপক্ষই আক্রমণাত্মক এপ্রোচ নিয়ে মাঠে নেমেছে। ম্যাচের ৫ মিনিটেই ফ্রান্সের থিও হারনান্দেজের একটি অসাধারণ গোলে ম্যাচের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যায়। মরক্কো অগণিত চেষ্টা করেও সমতায় ফিরতে পারে নি। প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তাদের চেষ্টা কমেনি, দেখা যায় নি ক্লান্তির। তবু্ও তাদের পক্ষ ফ্রান্সের গড়ে তোলা প্রতিরোধের দুর্গ ভাংগা সম্ভব হয় নি।এর মধ্যেই বদলি হয়ে আসা রান্দাল কোলো মুয়ানি ৭৯ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় গোল করে ফ্রান্সকে আরো শক্ত অবস্থানে নিয়ে যায়। কোনো ম্যাজিক ছাড়া এই কঠিন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো মরক্কোর পক্ষে সম্ভব ছিল না। যে কারণে ফ্রান্স ২-০ গোলে জিতে যায়। ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালের ইতিহাসে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজের নাম লেখায়। ফ্রান্সই প্রথম যে দেশ কিনা পর পর দুইবার বিশ্বকাপ ফাইনালে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কোনো দলই আজ পর্যন্ত পর পর দুইবার শিরোপা নিয়ে যেতে পারেনি। ফ্রান্স কি পারবে এই অসম্ভব কে সম্ভব করতে? আর্জেন্টিনা কি পারবে তাদের বিশ্বকাপ খরা কাটাতে?
এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ১৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা আর জল্পনা কল্পনা চলতে থাকবে। এর আগে প্রায় ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স- আর্জেন্টিনা। তার মধ্যে ছয় বার জিতেছে আলাবাসেলেস্তেরা ও ৩ বার জিতেছে ফ্রান্স আর বাকি ৩ বার ড্র হয়েছে। এবার বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে ফ্রান্স নিজেদের কে ভালো আক্রমণাত্মক হিসেবে পরিচিত করেছে। এম্বাপ্পে, গ্রীজম্যান, গিরুদদের মত ভালো খেলোয়াড়দের নিয়ে ভালো এটাকিং বলয় সৃষ্টি করছে এই ফরাসি দল।অন্যদিকে বিশসেরা ফুটবলার মেসির দল আর মেসি নির্ভর নেই তারা এখন টিমওয়ার্কে বেশ মনোযোগি। লাউতারো মার্টিনেজ, আলভারেজ, মলিনাদের মত তরুণ খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর মেসি-মারিয়ার দল। সেমিফাইনালে আলভারেজের দুই গোল তাই প্রমাণ করে।
Discussion about this post