চট্টগ্রাম, ১ জানুয়ারি, ২০২২:
শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই তুলে দিয়ে আজ চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে শুরু হয়েছে ‘জাতীয় পার্ঠপুস্তক উৎসব’। সকাল থেকে শুরু হয় এই উৎসব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) এক অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ।শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যবই বিতরণের জন্য তিনি খুবই খুশি বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আজ সারাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৩৩ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার ৩০০ পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে বলে আশা করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি)।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত দুই বছর বই উৎসব হয়নি। করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার বিদ্যালয়গুলোতে বই উৎসবের আয়োজন করে। সকালে চট্টগ্রাম নগরীর খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চট্টগ্রাম কলেজিয়েটে স্কুল, সরকারি মুসলিম হাইস্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে চলছে বই উৎসব।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৫৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬১টি। মাদ্রাসায় প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪১টি। সর্বমোট প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৫০২টি। এ পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত ৫৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ বই বিদ্যালয়ে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৩৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮২ হাজার। এসব শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা হচ্ছে ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০৯টি। চাহিদার বিপরীতে গত শুক্রবার পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১১টি। যা মোট চাহিদার ৩৩ শতাংশ।
বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করে এবং এ পর্যন্ত মোট ৪৩৪ কোটি ৪৫ লাখ ৮০ হাজার ২১১টি পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে।
Discussion about this post