চট্টগ্রাম, ৩ জুন, ২০২৩:
চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ’র ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জয়ন্তী উৎসব উৎসবমুখর করার জন্যে একটি র্যালির আয়োজন করা। গতকাল ২ জুন সকাল ১০টায় র্যালি নিয়ে সেন্ট প্ল্যাসিডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে হোটেল সৈকত পর্যন্ত গিয়ে হোটেল সৈকতে জাতীয় পতাকা এবং ওয়াইএমসিএ এর পতাকা উত্তোলনের করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাধর্মপ্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহাধর্মপ্রদেশের আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক এলায়েন্স অব ওয়াইএমসিএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রেমন্ড আরেং, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মার্কুস গোমেজ, ওয়াইএমসিএ জাতীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট জনি হিউবার্ট রোজারিও ও সাধারণ সম্পাদক নিপুন সাংমা।
আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয় কেক কাটা এবং প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে বক্তব্য রাখেন সকল অতিথিবৃন্দ।
চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএর চেয়ারম্যান এমরোজ গোমেজ তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ও গর্ব, ড: বার্থলোামিয় সাহা এবং মি: ডানকেন চৌধুরী চট্টগ্রামের ওয়াইএমসিএ র সুনাম সুদূর বিদেশেও ছড়িয়ে দিয়েছেন।
নিপুন সাংমা বলেন, বর্তমানে ১২০ টি দেশে ওয়াইএমসিএ সবার সাথে সম্প্রীতি বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম বাস্কেটবল এবং ভলিবল খেলা ওয়াইএমসিএ এর আবিষ্কার। ওয়াইএমসিএর অতীত অনেক সমৃদ্ধ। প্রতিটি ওয়াইএমসিএ সর্বদা শিশু, যুব এবং নারীদের পাশে থাকে। বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করে থাকে।
মি: জনি হিউবার্ট রোজারিও, প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদ, ওয়াইএমসিএ বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ কে ৫০ বছরের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মি: রেমন্ড আরেং যারা নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও এই ওয়াইএমসিএ কে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মার্কুস গমেজ বলেন, ওয়াইএমসিএ যাত্রা শুরু হয় এই চট্টগ্রাম থেকে। আর এই ওয়াইএমসিএ যুবকদের দেহ, মন, আত্না গঠনে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
আর্চবিশপ লরেন্স সুব্রত হাওলাদার, সিএসসি, মেট্রোপলিটন আর্চবিশপ, চট্টগ্রাম ক্যাথলিক আর্চডাইয়েসিস, জুবিলীর এই কনসেপ্ট ই এসেছিলো স্বয়ং পিতা পরেমশ্বরের কাছ থেকে। তিনি বলেন, ৭ গুণ ৭ = ৪৯ বছর পরে ৫০ তম বছর বিশ্রাম বছর বা জুবিলি বছর হিসেবে পালন করতে হবে। এইটা একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। স্যার জর্জ এর যে স্বপ্ন ওয়াইএমসিএ কে নিয়ে, চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ খুব সুন্দর করেই পূরণ করে যাচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে অনেকেই সুন্দর ভাবে চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ কে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
প্রধান অতিথি মহামান্য কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি’ রোজারিও, সিএসসি, অবসরপ্রাপ্ত আর্চ বিশপ, ঢাকা ক্যাথলিক আর্চডাইয়েসিস, সকল মন্ডলী একসাথে মিলে কাজ করছে ওয়াইএমসিএ র মাধ্যমে। আন্ত মান্ডলিক কাজ করার যে প্রচেস্টা, সেই প্রচেস্টায় ওয়াইএমসিএ সর্বদা সামনে থাকে। চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএ র অনেক কিছুই আছে গর্ব করার মতো। বার্থোলোমা সাহা এদের মধ্যে একজন।
প্রথম অধিবেশনের সমাপ্তি হয় আহবায়ক ডেমিয়েন কুইয়ার সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে।
এরপর স্মারক দেয়া হয় সকল অতিথিদের, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবীণ সদস্যদের এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং জেনারেল সেক্রেটারিদের।
উপস্থিত অন্যান্য ওয়াইএমসিএর মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিনিধিগণও চট্টগ্রাম ওয়াইএমসিএকে স্মারক প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয় ওয়াইএমসিএ পরিবারের সদস্য সদস্যাদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে।
Discussion about this post