চট্টগ্রাম, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩:
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এব্যাপারে আবহাওয়া অফিস সন্ধ্যার পর বিস্তারিত জানাবে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে তা অতি দুর্বল ঘূর্ণিঝড় হবে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
এদিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে চট্টগ্রাম জুড়ে টিপটিপ বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন।
আবহাওয়া অফিস তাদের বুলেটিনে জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি
আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৭.৮°উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৭,০° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি আজ (১৬ নভেম্বর ২০২৩) দুপুর ১২ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৯০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরো উত্তরপূর্ব দিকে
অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের উপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মি.মি.) থেকে অতিভারি (২.৮৯ মি.মি.) বর্ষণ হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হলো।
Discussion about this post