চট্টগ্রাম,১৬ নভেম্বর, ২০২৩:
যৌতুকের জন্য স্বামী নির্যাতনের কথা সাধারণত শুনা যায় না। শুধু শুনা নয় যৌতুক আদায়ের জন্য মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাজীব মজুমদার নামে চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে এক ব্যক্তি।
১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তারের আদালতে মামলাটি করেন রাজীব। আসামিরা হলেন রাজীব মজুমদারের স্ত্রী হ্যাপি দাস (২৩), রাজীবের শাশুড়ি ববিতা রানী দাস (৫০) ও শ্বশুর লোকনাথ চন্দ্র দাস (৫৭)।
মামলার অভিযোগে রাজীব তার স্ত্রী হ্যাপির বিরুদ্ধে ফিক্স ডিফোজিট ও আবাসিক ভবনের মালিকানা লিখে দিতে চাপ দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। হ্যাপির মা-বাবা ইন্ধনে তাকে প্রতিনিয়ত চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম রাজীব ও হ্যাপি বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকদিন পর স্ত্রী হ্যাপির বাবা-মা তাদের দাম্পত্য জীবনের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেন। এই নিয়ে নানা সময়ে দাম্পত্য কলহের সূত্রপাত হয়। কয়েক মাস আগে, স্ত্রী ভিকটিম রাজীবকে তার নামে ব্যাংকে ১৫ লাখ টাকার একটি এফডিআর খুলতে চাপ দিতে থাকেন এবং পাহাড়তলী এলাকায় ভিকটিমের থাকা নিজস্ব আবাসিক ভবনের অর্ধেক অংশ হ্যাপির নামে রেজিস্ট্রি করতে চাপ দিতে থাকে।
এই নিয়ে মানসিকভাবে রাজিবকে চাপ দিতে থাকলে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং প্রতিবেশিদের সহায়তায় সমস্যাটি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্ত্রীর ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের কারণে তিনি ব্যর্থ হন। বাড়ি লিখে না দিলে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা ও যৌতুকের মামলা দিয়ে ফাঁসানো হবে বলে হুমকি দেন হ্যাপি দাস।
মামলার বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বরূপ কান্তি নাথ বলেন, স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগে রাজীব মজুমদার আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
Discussion about this post