চট্টগ্রাম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪:
গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষ হবার মাত্র ১৫ মিনিট আগে চট্টগ্রাম- ১৬, বাঁশখালী থেকে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। আজ দুপুরে চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় ইসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান কেন মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছিল তা জানিয়েছেন। স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এ রকম প্রার্থিতা বাতিলের নজির নেই বলেও সভায় মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন,৫৩ বছর চলছে ৭১ এর স্বাধীনতার পর। কখনোই কিন্তু প্রার্থিতা বাতিল হয়নি। চট্টগ্রামে কিন্তু ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। এটা আমরা সবাই জানি। কারণ বাতিল করার মত উপাদান ছিল। তাকে আমরা আগে থেকেই, সপ্তাহখানেক আগে থেকে ট্র্যাক করতেছিলাম তার এক্সিভিটিজগুলো। তাকে কোনোভাবেই যখন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না, তখন থানায় ঢুকে গিয়ে তিনি যখন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করছেন, সার্কেল এডিশনাল এসপি নিবৃত করতে পারছেন না। এরপরে তো আর বসে থাকা যায় না। তাহলে আমাদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকে না। তখন আমরা চরম সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলাম। তারপরে উনি কি করেছেন সেটা পরের বিষয়। আইন আদালত সেটা পরের বিষয়। কিন্তু কাজ তো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন চলাকালীন কোনো রকম কুণ্ঠাবোধ করব না।
সকালে পিটিআই মিলনায়তন, চট্টগ্রামে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন -২০২৪ উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়, চট্টগ্রামের উদ্যোগে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূরে আলম মিনা, ডিজিএফআইয়ের চট্টগ্রাম শাখা অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরওয়ার, আনসার ও ভিডিপির উপ মহাপরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল্লা রাসেল, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লা, চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুচ আলী।
এতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান আরো বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনেও আমরা কোনো কুণ্ঠাবোধ করব না। ভোটের দিন যে যেখানে থাকেন সর্বময় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। অন্যায়ের বিপক্ষে যদি কোনো রকমের বিপদগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা থাকলে আমরা পাশে থাকব। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে কেউ চায়না ভোটটা খারাপ হোক। ভোট সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য যা যা দরকার পদক্ষেপ নিবেন। তিনি আরো বলেন, ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পুরোটাই হচ্ছে প্রিসাইডিং অফিসারের। তিনি সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার নিতে পারবেন। উনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে হলে উনি ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিবেন। যতবার দরকার ততবার আমরা ভোটগ্রহণ করব।
Discussion about this post