চট্টগ্রাম, ৭ জুলাই, ২০২৪:
সাতকানিয়ায় হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত ১২ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রকে জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের তেলীপাড়া ইয়াছিন মক্কী আল কাসেমী হেফজখানা ও এতিমখানায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ছাত্রের বাবা বাদি হয়ে শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে সাতকানিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই দিন রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বড়ঘোনা ওমর আলী পাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল্লাহকে (২২) মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে সাতকানিয়া থানা পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের তেলীপাড়া ইয়াছিন মক্কী আল কাসেমী হেফজখানা ও এতিমখানার ছাত্রাবাসে থেকে ছাত্রটি পড়া-লেখা করছিল। চলতি বছরের ২৭ জুন রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে ছাত্রটি ঘুমানোর আগ মুহূর্তে মাদ্রাসার বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করতে গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক ছাত্রটিকে ডেকে তার কক্ষে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ছাত্রটির পরিহিত লুঙ্গি খোলার চেষ্টা করলে শিক্ষকের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডে সে (ছাত্র) চিৎকার করার চেষ্টা করলে তাকে মারধরের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকার করেন। এর আগে চলতি বছরের ১ মার্চ রাতে একই শিক্ষক ওই ছাত্রকে নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক বলাৎকারের চেষ্টা করে সফল হয়নি।
ছাত্রের মা জানান, শুক্রবার (৫জুলাই) দুপুরে মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়ে ছাত্রটি বাড়ি আসে। তবে লজ্জায় বিষয়টি ঘরের কাউকে জানায়নি। শনিবার তাকে (ছাত্র) মাদ্রাসায় যেতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ জিজ্ঞাসা করলে পরে তার ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বিষয়টি মাকে খুলে বলে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার বলেন, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্ত আসামিক গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গতকাল (রোববার) সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Discussion about this post