চট্টগ্রাম, ২২ নভেম্বর, ২০২৪:
সশস্ত্রবাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে গতকাল আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্ঠা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে ১২ বছর পর সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও। দুই জনই পাশাপাশি আসনে বসেছিলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য সহ ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে প্রধান উপদেষ্ঠা সহ উপদেষ্ঠা পরিষদের অন্তঃভুক্ত ছাত্র নেতা ও অন্য ছাত্রনেতারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করেন ও কুশল বিনিময় করেন। যে ছবিগুলো ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে ড. ইউনূস ও খালেদা জিয়া নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক আলাপচারিতার মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই ছবিগুলো থেকে জনসাধারণ নতুন রাজনৈতিক বার্তা খোঁজার আশা করছেন।
অনেকে এটাকে রাজনীতিতে সম্প্রীতির বার্তা হিসাবে দেখলেও, রাজনীতিতে জোটবদ্ধ হবার সূত্র হিসাবেও দেখছেন। দেশের বিভিন্ন সংস্কার ইস্যু ও অন্তর্বর্তী সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের সাথে বিএনপির যে মতদ্বৈততা বা ফাটল রেখা – সেই দূরত্ব কমেও আসতে পারে।
ফেসবুক ব্যবকারী সালহ মোল্লাহ মন্তব্য করেছেন,’আজকের এই প্রেক্ষাপট তৈরিতে এই ছাত্ররা অনেক প্রাণ অনেক রক্ত ঢেলেছে, এরা আমাদের মাথার তাজ। মোহাম্মদ আবদুর রহিম লিখেছেন, ‘এই বিরল মুহূর্তের জন্য ধৈর্য্য ধরে মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছে। ‘
md manun নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষ আজ খুবই আনন্দিত যে। আমরা আমাদের দেশ প্রেমিক নেত্রী কে সেনানিবাসে দেখতে পেয়ে এই নেত্রী কে বাংলাদেশের মানুষ সারা জীবন মনে রাখবে। আমারা আরো গর্বিত যে সবার মাঝে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য। আমরা সাধারণ মানুষ চাই সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে দেশে কে সামনে এগিয়ে যাবে। সর্বশেষ রাজনৈতিক দল যার যার দিনশেষে আমাদের দেশটা সবার। আমরা একজন ব্যক্তি কে বড় করে না দেখে দেশ কে বড় করে দেখতে চাই। একজন ব্যক্তি ক্ষমতায় আসবে যাবে কিন্তু দিন শেষ দেশটা আপনার আমার।’
সময় নিউজের পোস্টে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ অনেকগুলো বছর পরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুখে হাসি দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো…!
ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান প্রদর্শনে সত্যিই দেশবাসী আবেগআপ্লুত হয়েছে। একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক নেত্রীর প্রতি যারাই সম্মান দিবে তাদেরকেও এই দেশ সম্মান করবে ইনশাআল্লাহ।’
মিয়াজ মুবারক লিখেছেন, ‘হানাহানি নয় সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই।’ মিলন শেখ নামে একজন লিখেছেন, ‘সবাই মিলেমিশে বাংলাদেশটাকে সুন্দর করে এগিয়ে নিয়ে যাক, শুভকামনা রইল সবার জন্য।
তবে প্রধান উপদেষ্ঠা সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে।’
তিনি বাংলাদেশের দুই বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর রোগমুক্তি কামনা করেন। ছবি :সংগ্রহ
Discussion about this post