চট্টগ্রাম, ০৪ এপ্রিল, ২০২৪:
অবশেষে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হল থাইল্যা-ে। বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই রাষ্ট্র প্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ব্যাংককে সাংরি লা হোটেলে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হবার পরে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের প্রধান উপশ্টোর দায়িত্ব সেয়ার পর থেকে ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্কে অস্বস্তি বিরাজ করছিল। থাইল্যান্ডের এ বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্কের তিক্ততা কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসতে পারে।
ঊাংলাদেশে প্রফেসর ইউনূসের দায়িত্ব নেওয়ার পর এর আগে আরও দুই দফা মোদীর সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগ তৈরি হলেও তা সম্ভব হয়নি। এর আগে আর বৈঠক হয়নি দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে।
এবার বিমসটেকের সম্মেলনে তাদের বৈঠক হবে কি না, তা নিয়ে দোলাচণ ছিল।
দুই নেতা ‘পারস্পরিক শ্রদ্ধা’ এবং ‘অভিন্ন উন্মুক্ত আলোচনা’র জন্য একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। তাদের মধ্যে ৪০ মিনিট ধরে আলোচনা হয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, তাদের বিনিময় ছিল ছিল ‘অকপট, ফলপ্রসূ এবং গঠনমূলক’।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গভীরভাবে মূল্যায়ন করে। তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্ব পরস্পর সম্পর্কের ইতিহাস, ভৌগোলিক নৈকট্য ও সাংস্কৃতিক বন্ধনের ওপর প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭১ সালে আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ে ভারতের সরকার ও জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
তবে শুক্রবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি জানিয়েছে ঢাকা, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বাসসের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, বৈঠকে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণসহ পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন বিষয় বাংলাদেশ উত্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ‘৩০ মিনিটের এই বৈঠকটি খুবই গঠনমূলক এবং ফলপ্রসূ ছিল কারণ উভয় নেতা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।’ তিনি বলেন, বৈঠকে ভারত থেকে শেখ হাসিনার উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। এছাড়াও, সীমান্ত হত্যা এবং তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়েও ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।