চট্টগ্রাম,২০ মে, ২০২৫:
সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ রোহিঙ্গা যুবক আবদুল করিমের (২১) মরদেহ ২৩ ঘণ্টা পর ডুবুরিরা উদ্ধার করেছে। কক্সবাজারের উখিয়া ট্যাংখালি ১৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জানা গেছে, মো.হোসেনের ছেলে আবদুল করিম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মো.শাহেদ নামে এক ব্যক্তির পোল্ট্রি খামারে চাকরি করতেন। গতকাল সোমবার দুপুর দুইটার দিকে একই ইউনিয়নের পূর্ব কাটগড় সাঙ্গু নদীতে গোসল করতে গিয়েছিলেন। নদীর স্রোতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা মঙ্গলবার সকাল ৭টার অভিযান শুরু করে। একটানা ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে দুপুর ১ টার দিকে নিখোঁজের প্রায় দেড় শতাধিক ফুট দূর থেকে করিমের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাতকানিয়া ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা আজাদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কর্মরত ডুবুরি দলের পাঁচ সদস্য সাঙ্গু নদীতে ৬ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে তার লাশ উদ্ধার করেছে। এর আগে সোমবার বিকাল চারটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত অভিযান চালালেও ওই যুবককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে,
বৈধ অভিভাবকের নিকট লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে। অন্যথা হলে থানায় লাশ হস্তান্তর করা হবে।
বিগত দেড় মাস আগে করিম সাতকানিয়ার শাহেদের মুরগি ফার্মের কাজে যোগ দেয়। শাহেদ জানান, সাঙ্গু নদীতে আরো কয়েকজনের সঙ্গে তিনি গোসল করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অন্যরা নদী থেকে ফিরে আসলেও করিম নদীর পানিতে তলিয়ে যান।
তিনি বলেন, নিখোঁজের পর স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় হাত জাল দিয়ে প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালায়।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, সাঙ্গু নদীটি অন্যান্য নদীর তুলনায় বেশি। এ নদীতে গোসলের ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা হওয়ার আহ্বান জানান।
Discussion about this post