চট্টগ্রাম, ২০ আগস্ট, ২০২২:
দেশের পোলট্রি খাত হাত মাফিয়া চক্রের হাতে। এই চক্রটি গত ১৫ দিনে ডিম ও মুরগির দাম বাড়িয়ে বাজার থেকে ৫১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ১০ থেকে ১২টি কোম্পানি যৌথভাবে এই চক্র তৈরি করেছে। বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বাজারে ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি ডিমের দামে বেশ অস্থিরতা চলছে। চক্রটি পরিকল্পিতভাবে ডিম, মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে বিপুল অংকের টাকা মুনাফা করেছে।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন জানায়, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে সারা দেশে প্রান্তিক খামারিদের ধ্বংস করতে চায় এই চক্রটি। তাদের চক্রান্তে বন্ধ হয়ে গেছে দেশে প্রায় অর্ধেক প্রান্তিক খামার । যারা এখনো টিকে আছে, তারা ডিম ও মুরগি উৎপাদন করলেও দাম নির্ধারণ করতে পারে না। এ দাম নির্ধারণ করে দেয় বড় কোম্পানিগুলো।
সুমন হালদার বলেন, প্রান্তিক খামারিদের হাতে যখন ডিম ও মুরগি মজুদ থাকে, তখন দাম বাড়াতে চায় না তারা। বাজাওে ডিম ও মুরগির দাম কমে এলে বড় কোম্পানিগুলো তখন ডিম ও মুরগি ছাড়া বন্ধ করে দেয়। তারাই জেনেশুনে বর্তমান বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।
তারা পোল্ট্রি খাদ্য নিয়েও চক্রান্ত চালায় বলে জানায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন। তখন প্রান্তিক খামারিকে ফিড কিনতে হয় ৩ হাজার ৩০০ টাকায় আর বড় কোম্পানিগুলো কন্ট্রাক্ট ফার্মিং কওে তা কিনে আড়াই হাজার টাকায়। তারা প্রতিটি ডিমে বাড়তি লাভ করে ৩ টাকা আর একটি ব্রয়লার বাচ্চায় ২০ থেকে ২২ টাকা অতিরিক্ত লাভ করে। গত ১৫ দিনে বড় কোম্পানিগুলো ডিমের বাজার থেকে ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগির কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে প্রতিদিন ১৯ কোটি ৫০ লাখ কেজি মজুত সংকট তৈরি করে। পওে সেগুলো বাজারে ছেড়ে কেজি প্রতি বাড়তি ১৫ টাকা নিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে ১৭২ কোটি টাকার বেশি।বাচ্চা থেকে কিভাবে মুনাফা লুটে নেয় তার হিসাব দিয়ে সংগঠনটি জানায়, গত ১৫ দিনে ২৩৪ কোটি টাকা অতিরিক্ত লাভ তুলেছে।
Discussion about this post