চট্টগ্রাম,৩ জুলাই,২০২৫:
দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই পাঁচ কর্মকর্তা হলেন ঢাকা পূর্বের কাস্টমস, এক্সাইজ এবং ভ্যাট কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন; বেনাপোল স্থলবন্দরের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান; রাজশাহীর সার্কেল-৭ এর উপ-কর কমিশনার মো. মামুন মিয়া; আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অতিরিক্ত কর কমিশনার সেহেলা সিদ্দিকা; এবং ঢাকার কর অঞ্চল-২ এর কর পরিদর্শক লোকমান আহমেদ। এনবিআরের নতুন পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম। এর মাধ্যমে দুর্নীতির অভিযোগে মোট ১৬ জন এনবিআর কর্মকর্তা দুদকের তদন্তের আওতায় এসেছেন। ২৯ জুন, এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণ এবং ‘প্রতিহিংসাপরায়ণ বদলি’ বন্ধের দাবিতে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে আন্দোলনের মধ্যে ছয়জন এনবিআর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দুদক। পরে, ১ জুলাই, এনবিআরের আরও পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করে দুদক।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের ‘শাট ডাউন’ কমসূচিতে অংশগ্রহণ করে কাস্টমস কার্যক্রম ব্যাহত করার অভিযোগে গত ১ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এই বরখাস্ত আদেশ জারি করা হয়।
গতকাল বুধবার রাজস্ব খাত সংস্কারের দাবিতে এনবিআর কর্মকর্তাদের ‘শাট ডাউন’ কমসূচির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সরকার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তিন সদস্য এবং একজন কমিশনারকে অবসরে পাঠায় সরকার। তিনজন এনবিআর সদস্য হলেন- আলমগীর হোসেন, হোসেন আহমেদ এবং আব্দুর রউফ এবং কমিশনার হলেন- মো. শাব্বির আহমেদ, যিনি বরিশাল কর অঞ্চলে ভারপ্রাপ্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।