চট্টগ্রাম, ১ জুলাই,২০২৫:
ইস্টার্ন রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছরে এবছর প্রথমবার ১৫ লক্ষ মেট্রিক টনের অতিরিক্ত আরও ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন করেছে।
১৯৬৮ সালের মে মাসে ইআরএল’র বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে এবং সুদীর্ঘ ৫৭ বছর যাবত আমদানিকৃত ক্রুড অয়েল পরিশোধন করে এলপিজি, পেট্রোল, অকটেন, কেরোসিন, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েলসহ মোট ১৪ টি পেট্রোলিয়াম পণ্য উৎপাদন করে আসছে।
সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ইআরএল তার উৎপাদন সক্ষমতার শতভাগ অতিক্রম করার নজির স্থাপন করতে সক্ষম হওয়ায় ঐতিহাসিক মুহূর্তের উদযাপন উপলক্ষে আজ দুপুরে ইআরএল সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও ইআরএলের বোর্ড চেয়ারম্যান নাসিমুল গণি।
বেশকিছু বাস্তবভিত্তিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলেও ইআরএল’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় এই উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করা সম্ভবপর হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। আরো বলেন, এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদনের ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে ইআরএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফ হাসনাত ইআরএল সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি, অংশীজনদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন জানান।
তারা বলেন, এরকম উৎপাদনের জন্য অনেকগুলো ফ্যাক্টরকে এক সাথে ক্লিক করতে হয়। এজন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে ক্রুডের সরবরাহ ঠিক থাকা। ক্রুড না থাকলে প্রসেস করা যাবে না। তাদের সাপ্লাই চ্যানেল সুচারুভাবে কাজ করেছে। মেশিনারি কার্যক্রমের জন্য সঠিক মেনটেইনেন্স দরকার হয়। এজন্য যন্ত্রপাতি পুনঃস্থাপনের প্রয়োজন হলে করতে হয়। সকল কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম। যে অর্থবছরে আমাদের শাটডাউন থাকে না সে অর্থ বছরে উৎপাদন বাড়ে।
ইআরএল জানিয়েছে, ২০২০-২১ সালেও তারা ১৫ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড অয়েল পরিশোধন করেছিল।
এতে বিপিসির চেয়ারম্যান আমিনুল আহসান সহ ইআরএলের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইআরএল জানায় তাদের দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এজন্য ডিপিপি জমা দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়া শেষ হলে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শুরু করা হবে।