চট্টগ্রাম, ২৫ আগস্ট, ২০২২:
চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্স দেশব্যাপী একটি সুপরিচিত চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র। এমন কি বিশ্বব্যাপি এই চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। এই হাসপাতালে চোখের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে মানুষকে সচেতন করা, চোখের সমস্যা শনাক্ত করা, চিকিৎসা দেওয়া, অস্ত্রোপচার করা সহ নানা ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনবল তৈরিতে কাজ করছে। ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি (বি.অপটম) কোর্স চক্ষু চিকিৎসার একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। যা চক্ষু চিকিৎসা শাস্ত্রে বিশ্বব্যাপি গুরুত্বপূর্ণ কোর্স। এ কোর্সে প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসার সবকিছু হাতে কলমে শেখানো হয়। এ কোর্সে ভর্তি হলে একজন রোগীর চোখ পরীক্ষার প্রাথমিক প্রক্রিয়া, রোগীকে চশমা দেয়ার নিয়ম থেকে শুরু করে চক্ষু চিকিৎসার মৌলিক সব বিষয়ে পারদর্শী হওয়া যায়।
এই কোর্স সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাসেবায় ক্যারিয়ার গড়তে পারে। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি (বি.অপটম) কোর্স চালু হয়েছে ১৩ বছর।
আজ ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারি অ্যান্ড ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি (বি.অপটম) কোর্সের ১৩ তম ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইমরান সেমিনার হলে হাসপাতালের ইনস্টিটিউট অব কমিউনিটি অফথালমোলোজি (আইসিও)’র উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এ এ মালেক।
আইসিও’র পরিচালক অধ্যাপক ডা. খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আইসিও’র অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জামান ওসমানী।
বক্তব্য রাখেন, সিএমইউ এর ডিন অধ্যাপক মনোয়ারুল হক শামীম, চমেক হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তনুজা তানজিন, আইসিও এর অধ্যাপক ডা. জেসমিন আহমেদ।
এছাড়া অভিভাবকদের পক্ষে আবদুল আলী, শিক্ষার্থীদের পক্ষে উন্মে জাহিদা মিসমা বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন, আইসিও’র প্রভাষক জুয়েল দাশগুপ্ত, কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, মো. সাইফুর রহমানসহ বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আইসিও এর রিসার্চ অফিসার তানজিলা মোহনা ও প্রভাষক শেখ তামিমা হাসানের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন অপটোমেট্রি কোর্সের নবীণ ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে বরণের পাশাপাশি বিগত শিক্ষা বর্ষে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের সমাপনী পরীক্ষায় মেধার স্বাক্ষর রাখা ১৪ জন ছাত্রছাত্রীকে বৃত্তি ও শিক্ষা সনদ প্রদান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে আইসিও এর অধ্যাপক ডা. জেসমিন আহমেদ পদোন্নতি পাওয়ায় তাকে ফুল দিয়ে বরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণীজন এম.এ.মালেক বলেন, চোখের গঠন বেশ জটিল। চোখের কোন ক্ষতি হলে সারাতে দক্ষ লোক ছাড়া হয় না। আমাদের দেশে একেক জন একেক পেশায় যোগ দিতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে অনেকেই মানবিক সেবায় নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান। বিশেষ করে ডাক্তারি পেশায়। এ ধরনের পেশায় যেসব শিক্ষার্থীদের আগ্রহ আছে তারা চক্ষু চিকিৎসার ওপর পড়াশোনা করছে। সূত্র: প্রেস রিলিজ
Discussion about this post