চট্টগ্রাম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২:
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২ দিনে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। চট্টগ্রামে চলতি বছরের গত ৮ মাসে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৪৯ জন। তবে সেপ্টেম্বর মাসেই আক্রান্ত হয়েছে ২৪২ জন। এর মধ্যে ১৮৯ জনই চট্টগ্রাম মহানগরীর বাসিন্দা। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪০৫ জন।
এদিকে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৪৩৭ জন ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক সাহেদা আখতার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে বর্তমানে ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। গতকাল (বুধবার) দুপুরে ও রাতে ২ জনের মৃত্যু হয়। তাদের ডেঙ্গু ছাড়াও আগে থেকে হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগ ছিল। এ ছাড়া ৬ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
দ্রুত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী বাড়ার মধ্যে অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ২ দিনে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৩ জনই নারী। এদের ৩ জনের বয়সই ৪০ বছরের উর্ধ্বে। তাদেও মধ্যে নগরীর পাহাড়তলীর বাসিন্দা শিউলি রানী (৪০) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) মারা যান। তিনি ভর্তি হন গত ২০ সেপ্টেম্বর। গত বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকার খুরশিদা বেগম (৭০) অসুস্থ অবস্থায় ওই একই হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মোগলটুলী বাইলেইনের নুরুল ইসলাম সওদাগর বাড়ির দিলআরা বেগম রেশমী (৫০) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে নগরীর বেসরকারি এভারকেয়ার হসপিটালে ভর্তি হন। গতকাল বুধবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। প্যাথলজিক্যাল টেস্টে এসব রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে চমেক হাসপাতালে আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের নিয়মিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫২৯ জনে। এ বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয় ১২ হাজার ৮৭৫ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ২৯৮ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪৮ জনের। তথ্যসূত্র: সংবাদপত্র
Discussion about this post