বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে আগামী বুধবার থেকে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে কর্তৃপক্ষ। তারা এখন বলছে -সিএনজি স্টেশন বন্ধের বিষয়টি নিয়ে আগামী কাল মঙ্গলবার পেট্রোবাংলার কার্যালয়ে অংশীজনদের সাথে বৈঠক হবে। বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত মোতাবেক সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।
সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমে ৬ ঘন্টা বন্ধ রাখার তথ্য জানানো হয়েছিল।
বিদ্যুতের চাহিদা যখন সর্বোচ্চ থাকে, সেই ‘পিক আওয়ারে’ বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত প্রতিদিন ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশনগুলো বন্ধ রাখার কথা হয়। মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সহকারী সচিব সায়মা আক্তার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গ্যাসের স্বল্পতার কারণে দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না বলে পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর গ্যাসের চাহিদা ও সরবরাহের স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে গত ১৯ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিএনজি স্টেশনগুলো ছয় ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
সোমবার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে মাত্র ৪১ শতাংশ সরবাহ করা সম্ভব হবে বলে পেট্রোবাংলার হিসাবে দেখা যায়। এদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চাহিদা রয়েছে ২২৫২ মিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাসের। কিন্তু সরবরাহ করা হবে ১০৮৭ মিলিয়ন কিউবিক ফিট।
সিদ্ধান্তের বিষয়ে বলা হয়, বিদ্যুতের দৈনিক পিক আওয়ারে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখতে হবে। বিকাল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত স্টেশনগুলো বন্ধ থাকবে। কমপক্ষে তিনটি দৈনিক পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের পর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তখন এ ব্যাপারে সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেছিলেন, আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। আপনাদের মাধ্যমে সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারলাম। এখন আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেব এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে কথা বলার চেষ্টা করবো।
বর্তমানে দেশে ৬৫৪টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে। কিন্তু চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় গ্যাসের সঙ্কট তীব্র আকার ধারণ করছে।