চট্টগ্রাম, ০৩ নভেম্বর, ২০২৪:
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের আদানি পাওয়ার বলেছে যে অন্তর্বর্তী সরকার ৭ নভেম্বরের মধ্যে অর্থ প্রদানের সমস্যা সমাধান না করলে তারা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থগিত করবে। বকেয়া পাওনা পরিশোধ না করায় তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ হ্রাসের পরে, এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুমকি দিয়েছে।
আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের প্ল্যান্ট থেকে ৩১ অক্টোবর থেকে সরবরাহ কমিয়েছে, তাতে বাংলাদেশে বিদ্যমান বিদ্যুতের ঘাটতিআরও বেড়েছে। পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের (পিজিবি) ওয়েবসাইটের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী, ১ নভেম্বর, আদানির গোড্ডায় (ঝাড়খণ্ড) প্ল্যান্টটি ১৪৯৬ মেগাওয়াটের ইনস্টল ক্ষমতার বিপরীতে ৭২৪ মেগাওয়াট সরবরাহ করেছে। আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড বিদ্যুতের বৃহত্তম সরবরাহকারী, তারপরে পায়রা (১২৪৪ মেগাওয়াট), রামপাল (১২৩৪ মেগাওয়াট) এবং এসএস পাওয়ার (1,224 মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, আদানি পাওয়ার কয়েকদিন আগে একটি চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশকে বকেয়া পরিশোধের অনুরোধ করেছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য বলেছে, এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। ‘এই ইস্যু দুই পক্ষের মধ্যে। তাদের মধ্যে একটি চুক্তিগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে: একটি বেসরকারি সংস্থা এবং অন্যটি বাংলাদেশ সরকারের। এই চুক্তিতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই,’ শনিবার একটি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে এমইএ মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন।
বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল আদানির পাওনা অন্তত সাত হাজার কোটি টাকার বেশি বলে পত্রপত্রিকার খবরে জানা গেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে ৮০ কোটি ডলার পাওনা পরিশোধের জন্য চিঠি দিয়েছিল আদানি।