চট্টগ্রাম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩:
পানির মান যাচাইয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসা ‘রিয়্যাল টাইম ওয়াটার কোয়ালিটি মনিটরিং’ বা আরটিডব্লিওকিউএম যন্ত্র নিয়ে এসেছে। এটির মাধ্যমে পানিতে ক্লোরিনের পরিমাণ, অ্যামোনিয়া, কলিফর্ম, টিডিএস ও উষ্ণতার পরিমাণ জানা যাবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা সম্প্রতি এমন দুটি যন্ত্র বসিয়েছে নগরীতে। সেন্সর ভিত্তিক এই দুই যন্ত্রের ফলে ল্যাবের পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করেই তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিতে পারবে চট্টগ্রাম ওয়াসা।
নিয়মিত পানির তথ্য জানিয়ে দেয়ার এই সেন্সর ভিত্তিক যন্ত্রটির নাম ‘রিয়্যাল টাইম ওয়াটার কোয়ালিটি মনিটরিং’ বা আরটিডব্লিওকিউএম। যা পানির ৬টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়ে দিবে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে হালিশহর ও চকবাজারে দুটি মেশিন বসানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, আমরা দুটি ‘রিয়্যাল টাইম ওয়াটার কোয়ালিটি’ প্রযুক্তি নির্ভর মেশিন বসিয়েছি। যেটির মাধ্যমে পানির তাৎক্ষনিক পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে। পানির পিএইচ, টিডিএস, কলিফর্ম ইত্যাদির তথ্য জানাতে সক্ষম এটি। আমরা যতক্ষণ পর পর তথ্য চাই, সে অনুসারে এটি অনলাইনে তথ্য দিতে পারবে। পাইলট প্রকল্প সফল হলে আগামীতে আরো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এতে ল্যাবের উপর নির্ভরতা কমে আসবে।
কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ-২ এর অধীনে দুটি আরটিডব্লিওকিউএম মেশিন স্থাপন করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। সম্প্রতি নগরীর হালিশহর বি ব্লকে এবং চকবাজার এলাকায় এ দুটি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে বসানো হয়েছে এ দুটি মেশিন। সেন্সর থাকায় এটি পানির ছয় ধরনের প্যারামিটার তাৎক্ষনিক পরীক্ষা করে ফলাফল দিতে সক্ষম। আগে পানির এসব পার্যামিটার পরীক্ষা ও ফলাফল বিশ্লেষনের জন্য ল্যাবের উপর নির্ভরশীল ছিল ওয়াসা। তবে আরটিডব্লিওকিউএম মেশিনের ফলাফল তাৎক্ষণিক হওয়াতে অনেক ক্ষেত্রে ল্যাবের উপর নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারবে সংস্থাটি। একই সাথে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতেও সহযোগিতা করবে এই মেশিন। পানি ঘোলাটে, ক্লোরিনের পরিমাণ, অক্সিজেনের পরিমাণসহ পানির মান সম্পর্কে এই যন্ত্রটি সার্বক্ষণিক সজাগ করবে সংস্থাটিকে। শুধু সেন্সরের ভিত্তিতে পানির মান যাচাই করে ফলাফল প্রদর্শন করবে তা নয়, সেই ফলাফল আবার অনলাইনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে সরবরাহও করবে যন্ত্রটি। যখন-তখন তথ্য দিতে সক্ষম যন্ত্রটি। ১০ বছর এভাবে তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম এটি।
চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল আহসান চৌধুরী বলেন, যন্ত্রটি পিএইচ, ক্লোরিন, অ্যামোনিয়া, টিডিএস, পানির তাপমাত্রা, দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ ইত্যাদি সম্পর্কে জানাতে পারবে। অস্ট্রিয়া থেকে দুটি মেশিন আনা হয়েছে। একটি হালিশহরে অন্যটি চকবাজার প্যারেড কর্নারে মেইন লাইনের সাথে স্থাপন করা হয়েছে। নগরীর হালিশহর বি ব্লকে ও চকবাজারে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল পাইপলাইনের সাথে যুক্ত করা হয়েছে যন্ত্র দুটি।
অস্ট্রিয়ার ‘স্ক্যান’ নামে পানির গুণগত মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান থেকে যন্ত্রগুলো আমদানি করেছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। এই উন্নত প্রযুক্তি ইতোমধ্যে আমেরিকা, অস্ট্রিয়া সহ বিভিন্ন দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ
Discussion about this post