চট্টগ্রাম, ১২ মে, ২০২৩:
সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেয়া মোখা অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি সঞ্চয় করেছে। এটি এখন বাংলাদেশ উপকূল থেকে সাড়ে নয়শ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে। এজন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আগামী রোববার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের কক্সবাজার এবং মিয়ানমারের কিয়াউকপিউয়ের মধ্যবর্তী এলাকা দিয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যখন ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৭৫ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানবে।
টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার বলছে, সে সময় ২০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে মোখার ঘূর্ণিবাতাসের শক্তি। আর ২২০ কিমি ছাড়িয়ে গেলে এটি হবে সুপার সাইক্লোন।
উপকূলীয় এলাকায় সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে আবহাওয়াবিদ আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের মূল অংশটা যাবে সেন্টমার্টিন এলাকায়, সেজন্যে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন উপকূল ঝুঁকিতে রয়েছে বেশি। ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় কক্সবাজারে আজ দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। শনিবার থেকে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত আরও বাড়বে। পুরো চট্টগ্রাম বিভাগ এর আওতায় থাকবে, সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতেও অতি ভারি বর্ষণ হবে। আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে উপকূলে বৃষ্টিপাত বাড়বে বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।
Discussion about this post