চট্টগ্রাম, ১৭ জুন, ২০২৩:
আগামী কাল রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ লক্ষ ৩৬ হাজার নির্দিষ্ট বয়সের শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১৩২১টি স্থায়ী/অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র থেকে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ৮১,০০০ শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ৪ লক্ষ ৫৫
হাজার শিশুকে ১টি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। আজ সকালে নগরের আলকরণ জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে চসিক স্বাস্থ্য বিভাগ এসব তথ্য জানায়। লিখিত বক্তব্যে চসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইমাম হোসেন রানা আগামী কাল শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মাইকিং করে জানানো হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
কর্মসূচির আওতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সকাল থেকে ৬-১১ মাস প্রতিটি শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল, ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন উদ্দিষ্ট বয়সের শিশুরা কেউ বাদ পড়লে তাদের চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ইপিআই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার হাসান মুরাদ, ডাক্তার সুমন তালুকদার, ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সহ চসিক স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর সকল প্রয়োজনীয় গাইডলাইন দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এই কর্মসূচীর সাথে জন্মের পরপর শিশুকে শালদুধ (১ ঘন্টার মধ্যে ) খাওয়ানোসহ প্রথম ৬ মাস শিশুকে
শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে।
এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি পরিমাণমতো সুষম খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হবে।
ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩, সফলভাবে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি/বে-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তাগণ, সকল জোনাল মেডিকেল অফিসার, মেডিকেল অফিসার, ইপিআই টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার, স্বাস্থ্য সহকারী, টিকাদান ও স্বাস্থ্য কর্মী এ কাজে নিয়োজিত
থাকবেন। ।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রমে চসিক এলাকায় ৬-১১ মাস বয়সী ৭৮,৫২২ জন এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৪,৫১,৪৯২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’
ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে। যার অর্জীত লক্ষ্য মাত্রা ছিল শতকরা ৯৭.০০% ও ৯৮.০০%।
Discussion about this post