চট্টগ্রাম, ২৩ জুন, ২০২৩:
চমেক হাসপাতালের পরিচালক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসানের ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাসপাতালে ভেন্টিলেটরসহ দশটি নতুন আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা হয়েছে। ইতিমধ্যে ভেন্টিলেটর ও দশটি বেড হাসাপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসাসেবার সু্বিধা আরও বেড়ে গেল। একই সাথে গাইনি ওয়ার্ডের জন্য দুটি লেবার টেবিলের ব্যস্থা করেছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রায় দুই কোটি টাকার এসব চিকিৎসা সরঞ্জাম পেতে চমেক হাসপাতালের পরিচালককে অনেক দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে।
সূত্এর মতে, এর আগে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন এসব আইসিইউ বেড অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। এরকম ২০টি আইসিইউ বেডের ১০ টি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এজন্য তিনি রাজধানীর সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো (সিএমএসডি) কর্তৃপক্ষের সাথে নিজ উদ্যোগে চেষ্টা-তদবির করেন।
জানা যায়, সিলেটের স্থানীয় মন্ত্রী- এমপির তদবিরে সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক সাথে ৩০টিরও বেশি ভেন্টিলেটর ও আইসিইউ বেড বরাদ্দ পায়। একসাথে এত বেশি ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেডের স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০টি অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখে। এ খবর জানাজানি হলে ২০টি আইসিইউ বেড পেতে তদবির চালায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই খবর চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসানের কানে এলে তিনিও চমেক হাসপাতালের জন্য বেডগুলো দাবি করেন সিএমএসডির কাছে। ভেন্টিলেটরসহ আইসিইউ বেডের ১০ টি চমেক হাসপাতালের রোগীদের জন্য আনতে তিনি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান। পরে সিএমএসডি কর্তৃপক্ষ শামীম আহসানের দাবি মেনে ভেন্টিলেটর সহ ১০ টি আইসিইউ বেড চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য দিতে রাজি হয়।
চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, হাসপাতালের মূল (পুরনো) ভবনের নিচ তলায় আইসোলেশন ওয়ার্ড স্থাপনের কাজ চলছে। ভেন্টিলেটর ও আনুসঙ্গিক সব সুবিধাসহ সেখানেই এসব আইসিইউ বেড স্থাপনের পরিকল্পনার রয়েছে তাদের। নতুন আইসোলেশন ওয়ার্ডে আইসিইউ সেবা সম্প্রসারণে ভেন্টিলেটর সহ ১০ টি আইসিইউ বেড স্থাপন করা হবে।
Discussion about this post