চট্টগ্রাম, ১২ আগস্ট, ২০২৩:
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এস এম রেজাউল করিম বলেছেন, হালদা নদীতে প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কার্প মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ‘হালদা নদী’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হালদা নদীর জন্য আমাদের প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। শিগগিরই তা অনুমোদন করা হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে হালদাকে আরও যুগোপযোগী করতে কাজ করছে।’
শনিবার কুমিল্লার মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চট্টগ্রাম বিভাগের মৎস্য সম্পদের বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি শহরের মৎস্য ভবন থেকে কর্মশালায় যোগ দেন।
রেজাউল বলেন, দেশের মিঠা পানির মাছ রক্ষার প্রয়াসে সরকার দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীকে ‘বঙ্গবন্ধু ফিশারিজ (মৎস্য) ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই ঐতিহ্যের গুণাগুণ, ঐতিহ্যগত মর্যাদা এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশ বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, সরকার হালদার অনন্য মর্যাদা এবং মাছের প্রজনন এলাকা নিশ্চিত করতে এবং দূষণমুক্ত করতে কাজ করছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক।
কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ শরিফুল আজম।
পরে মন্ত্রী কুমিল্লার আহমেদ নগরে নবনির্মিত পাঁচ তলা বিশিষ্ট নান্দনিক মৎস্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কার্যত উদ্বোধন করেন।
Discussion about this post