চট্টগ্রাম, ৩০ আগস্ট, ২০২৩:
চট্টগ্রাম নগরীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পৃথক অভিযান চালিয়ে ১০ লাখ টাকার বেশি অর্থদ- আদায় করেছেন খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, ফার্মেসি ও খাবার হোটেল মালিককে।
পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও ডেঙ্গুর ডিএনএস স্যালাইন বিক্রি করছেন না কোনো কোনো ফার্মেসি। গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের একটি অভিযানে এমন চিত্র দেখা যায়। জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মচারী ক্রেতা সেজে দোকানে ডিএনএস স্যালাইন কিনতে গেলে স্যালাইন পাওয়া যায়নি। কিন্তু এর কিছুক্ষণ পর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রতীক দত্ত। তখন সব দেকানেই পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন পাওয়া যায়।
গতকাল বুধবার বিকালে জেলা প্রশাসন ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে এমন লুকোচুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অভিযান কালে চারটি ফার্মেসি থেকে আনুমনিক দুই লাখ টাকার অনিবন্ধিত ঔষধ জব্দ করা হয়। প্রত্যেকটি ফার্মেসিকে জরিমানা করা হয়। এসময় সাহান মেডিকোকে ২০ হাজার, সবুজ ফার্মেসিকে ১০ হাজার, ইমন মেডিক্যাল হলকে ২০ হাজার এবং পপুলার মেডিসেন কর্নারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে একই এলাকার ভান্ডারী হোটেল এবং আল মঞ্জুর হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ খাদ্য তৈরির দায়ে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরের বাকলিয়ার ফুলকলি ফুড প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরিকে ৫ লাখ টাকা এবং মুরাদপুরের বারকোড ফুড জাংশনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিএম মশিউর রহমানের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জনস্বার্থবিরোধী আইনে এই শাস্তি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা ও মেট্রোপলিটন নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহান ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ফুলকলি ফুড প্রোডাক্ট ফ্যাক্টরিতে অভিযানকালে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মেয়াদে কারচুপি, লেভেলিং প্রবিধানমালা লংঘন, নিম্নমানের কাঁচামাল ব্যবহারসহ বিভিন্ন অপরাধ পরিলক্ষিত হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী পাঁচ লাখ টাকা এবং বারকোড ফুড জাংশনের রান্নাঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ, পচা মাংস ফ্রিজে সংরক্ষণ, অনুমোদনহীন ঘি ব্যবহার, কাঁচা ও রান্না করা মাংস একত্রে সংরক্ষণসহ নানাবিধ অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ অনুযায়ী চার লাখ টাকা জরিমানা আরোপ ও তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ছবি: সংগ্রহ