চট্টগ্রাম,০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
আগস্টের প্রথম সপ্তাহের লাগাতর বৃষ্টিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল চট্টগ্রাম নগরীতে। এর পর আরও কয়েক দফা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগর পানিতে তলিয়ে যায়। বিশেষ করে নগরের নি¤œ এলাকায় ১৫ ঘণ্টার বেশিও জলজট ছিল। জলাবদ্ধতা ও পানির তোড়ে চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কার না করায় চট্টগ্রাম নগরে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। অন্যদিকে সড়কের যেসব পয়েন্ট বেশি ভেঙ্গে গেছে সেসব জায়গায় যানজটে পড়ে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নগরে বসবাসকারী গণ পরিবহনের যাত্রীরা জানান, দুই তিন দফা ভারী বর্ষণ ও জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়ক ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। উঁচুনিচু হয়ে গেছে সড়ক। সলিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
বহদ্দার হাটের এক যাত্রী হাসানুজ্জামান জানান, বহদ্দার হাট থেকে মুরাদপুর সড়ক ভেঙ্গে যান চলাচলেরর অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। ৫ মিনিটের এই সড়কে ১৫ মিনিট সময় ভাঙ্গে। এটা অযথা হয়রানি। এই ১ কিলোমিটার সড়কে যেভাবে সড়ক ভাঙ্গছে তা না দেখলে বোঝানো যাবে না। যে কারণে যানজট লেগে থাকে।
যাত্রীরা জানান, বিশেষ করে যখন সকালে অফিসে যাতায়াতে তাড়া থাকে তখন গাড়ির চালকরা দ্রুত গাড়ি চালানোর চেষ্টা করলে বিপদ দেখা দেয়। গাড়িগুলো যেভাবে দুলতে থাকে তাতে ভয় পেয়ে যায় যাত্রীরা।
চট্টগ্রাম নগরের মোট সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৭৪ কিলোমিটার। এবারের বর্ষা মৌসুমের রেকর্ড বৃষ্টিতে প্রায় ৫০ কিমি. সড়কের ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এসব সড়কের কোথাও পিচঢালাই উঠে গিয়ে বড় গর্ত, কোথাও খানাখন্দ হওয়ায় সব ধরনের যান বাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক পিসিএল-কে বলেন, চলতি বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে প্রায় ৫০ কিমি. সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সাথে ২ কিমি. ড্রেন ও ২ কিমি. ফুটপাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক সংস্কারে কাজ করা হচ্ছে। আমরা ১ মাসে এসব সড়কের কাজ শেষ করার টার্গেট করেছিলাম। কিন্তু এখনো মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে সড়ক সংস্কার ও মেরামত কাজ বিলম্ব হচ্ছে। তাই রোদ-বৃষ্টির ফাঁকে ফাঁকে কাজগুলো করতে হচ্ছে।
প্রতি বছরের মত এ বছরও কয়েক দফা ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বাদুরতলা, বাকালিয়া ডিসি রোড, কেবি আমান আলী রোড, আগ্রাবাদ, হালিশহর, চান্দগাঁও, কাতালগঞ্জ, দেওয়ান বাজার ও শুলকবহরসহ অধিকাংশ নিচু এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। পানি সড়কগুলো নদীর মতো রূপ ধারণ করে। যে কারণে সড়কগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
Discussion about this post