চট্টগ্রাম,০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আংশিক উদ্বোধন হওয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর-ফার্মগেট রুটে টোল পরিশোধ করে রবিবার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়েতে দুই ও তিন চাকার যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল নিষিদ্ধ।
বিভিন্ন দিক থেকে এক্সপ্রেসওয়ে পার হতে প্রায় ১১ থেকে ১৩ মিনিট সময় লেগেছিল।
যাত্রীরা বলেছেন, তারা এত অল্প সময়ে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে এই ব্যস্ত অংশটি অতিক্রম করতে পেরে খুশি।
গতকাল শনিবার বিকেলে এ এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৪৬.৭৩ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি যাত্রাবাড়ীর কাছে কুতুবখালীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে বিমানবন্দরকে সংযুক্ত করেছে।
গতকাল শনিবার প্রথম ধাপে রাজধানীর বিমানবন্দরের কাওলা এলাকা থেকে তেজগাঁও হয়ে ফার্মগেট পয়েন্ট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের ১১.৫ কিলোমিটার অংশ এবং ১৩টি র্যা ম্প যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রক এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট সেকশনের টোল নির্ধারণ করেছে যা ৮০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।
এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৬০ কিমি এবং র্যা ম্প ব্যবহার করে ওঠা বা নামার সময় যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিমি প্রতি ঘন্টা।
আজ রবিবার সকাল ৭:৫০ মিনিটে বিজয় সরণি আপ র্যা ম্প এলাকায় কয়েকটি গাড়িকে টোল প্লাজা পার হতে দেখা যায়।
টোল প্লাজায় ম্যানুয়ালি টোল আদায়ের জন্য চারটি বুথ রয়েছে।
বুথ পার হওয়ার পর চিকিৎসক শায়লা শারমিন শাহনেওয়াজ বলেন, ‘আমি প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরায় আমার অফিসে যাই। এই এক্সপ্রেসওয়ে আমার প্রত্যাশা পূরণ করেছে এবং আমার সময় বাঁচিয়েছে।’
টোল প্লাজায় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৯৬টি যানবাহন—সব গাড়ি— ১৫,৬৮০ টাকা টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে অতিক্রম করেছে।
বিজয় সরণির আপ র্যা ম্প থেকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিমানবন্দরের ডাউন র্যা ম্পে যেতে মাত্র ১৩ মিনিট লেগেছিল।
বিমানবন্দর এলাকায় কাওলা আপ র্যা ম্পে, অনেক যানবাহনকে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যেতে দেখা গেছে।
কাওলার টোল প্লাজায় ছয়টি বুথ রয়েছে এবং সেগুলির সবকটিই সকাল সাড়ে ৮টায় চালু ছিল।
প্রতিটি গাড়ির জন্য টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়া প্রায় ১০ সেকেন্ড সময় নিচ্ছিল।
বেসরকারি চাকরিজীবী আরাফাত জয়গীরদার বলেন, ‘আমি প্রতিদিন উত্তরার বাসা থেকে মহাখালীতে আমার অফিসে যাই। আজ আমি কাওলা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছি এবং বনানী র্যা ম্পে নামতে চাই। উত্তরা থেকে বনানীর এই দূরত্ব অতিক্রম করতে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগতো। তাই আমি যদি ১০ মিনিটে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারি, এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না,’ বলেন তিনি।
কাওলা-ফার্মগেট সেকশন পার হতে ১১ মিনিট লেগেছিল।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রকের ১ সেপ্টেম্বর জারি করা একটি পাবলিক সার্কুলার বলেছে যে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে আসা যানবাহনগুলি কাওলা (বিমানবন্দর), প্রগতি সরণি এবং আর্মি গলফ ক্লাব এলাকায় র্যা ম্প ব্যবহার করে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারে।
মহাখালী বাস টার্মিনালের পাশে এবং ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে বনানী কামাল আতরতুক এভিনিউতে র্যা ম্প ব্যবহার করে এসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে পারে।
দক্ষিণ দিক থেকে আসা যানবাহন বিজয় সরণি ওভারপাসের দুই লেন এবং বনানী রেলস্টেশনের কাছে র্যা ম্প ব্যবহার করে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠতে পারে।
এসব যানবাহন মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে, বনানীর পাশে বিমানবন্দর সড়ক, কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সামনে র্যা ম্প থেকে নামতে পারে।
রাজধানীর যানজট কমাতে এবং সময় বাঁচাতে ২০১১ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
সারিবদ্ধকরণ পরিবর্তনের কারণে এটি ২০১৩ সালে সংশোধিত হয়েছিল এবং ২০১৫ সালে ৮৯৪০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে নির্মাণ শুরু হয়েছিল।
প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এটি মূলত ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত পূর্ণ সারিবদ্ধভাবে বিদ্যমান রেলপথ অনুসরণ করে। খবর ও ছবি, নিউ এইজ
Discussion about this post