চট্টগ্রাম, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩:
২৮ অক্টোবর কর্ণফুলীতে বঙ্গবন্ধু টানেল ও দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপ্রকল্পের উদ্বোধনের কথা। টানেল উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে আসবেন। এই দুটি প্রকল্প উদ্বোধনের দিন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতির আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ জনসভার করবে বলে জানা গেছে। সুধী সমাবেশ করবে প্রশাসন। নগরীর পতেঙ্গা অংশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুধী সমাবেশ ও আনোয়ারায় আওয়ামী লীগ জনসভা করবে বলে জানা গেছে।
এজন্য দক্ষিণ চট্টগ্রামে এখন সাজ সাজ আয়োজন। বাইরের আনন্দ ছাপিয়ে মানুষের মধ্যেও আনন্দেও ঢেউ লেগেছে। যে কারণে শুধু আওয়ামী লীগ বা প্রশাসন নয় জনমানুষও উদ্বেলিত। কারণ দেশের একমাত্র টানেল কর্ণফুলী নদীর তলদেশে। এছাড়া অবকাঠামো গড়ে উঠায় এলাকার চিত্রও পাল্টে গেছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ২৮ অক্টোবর টানেল ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে নগরে সুধী সমাবেশ ও আনোয়ারায় চায়না ইকোনমিক জোন মাঠে জনসভা করার পরিকল্পনা আছে। আমরা প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।
আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আনোয়ারাতেই হবে এটা একপ্রকার নিশ্চিত। জেলা থেকে ইতোমধ্যে এমন ইঙ্গিত উপজেলা আওয়ামী লীগকে দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত চায়না ইকোনমিক জোন মাঠেই এ জনসভা হবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জনসভা কেন্দ্রিক কার্যক্রম শুরু হবে। জেলা আওয়ামী লীগের জনসভার পরিকল্পনার বিষয়টি জানার পর থেকেই আনোয়ারা আওয়ামী লীগসহ প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনসভা সফল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রশাসনেও বেড়েছে তৎপরতা।
এদিকে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন একইদিনে হওয়ায় কক্সবাজারের মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস বেড়েছে। কক্সবাজার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি জনসভা কক্সবাজারে করার পরিকল্পনা নেয়া হলেও সেটি শেষ পর্যন্ত নাও হতে পারে।
কর্ণফুলী টানেলের সাথে চারলেনের সড়ক হওয়ায় আনোয়ারার পশ্চিম প্রান্তের মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। যে কারণে আগামী ২৮ অক্টোবর টানেল উদ্বোধনের দিন আনোয়ারাকে প্রাধান্য দিয়েই জনসভা করতে চায় আওয়ামী লীগ। আর প্রশাসনের সুধী সমাবেশও হবে।
আওয়ামী লীগ আনোয়ারার ইকোনমিক জোনে জনসভায়দক্ষিণ চট্টগ্রামের আটটি উপজেলা থেকে পাঁচ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে মানুষ উন্নয়নের চিত্র দেখে স্বস্ফ’র্তভাবে জনসভায় যোগ দিবে। সেই সাথে আওয়ামী লীগের প্রচারপ্রচারণাও থাকবে। সেজন্য দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের মধ্যেও প্রস্তুতি ডাক দেওয়া হয়েছে।