চট্টগ্রাম,১৮ অক্টোবর, ২০২৩:
২৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব টানেল। টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার মধ্যেই। টানেলে যেমন যোগাযোগ সুবিধা হবে তেমনি বাড়বে ব্যবসাবাণিজ্য। শুধু স্থানীয় ব্যবসা বাণিজ্য নয় আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যও বাড়বে এর মাধ্যমে। রয়েছে বন্দর কেন্দ্রিক বহুমুখি ব্যবসার সুযোগ।এছাড়া আগে থেকেই চট্টগ্রাম বন্দরের পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালে সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে দুবাইয়ের ডিপি ওয়ার্ল্ড বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।প্রস্তাবিত বে টার্মিনালে ডি পি ওয়ার্ল্ড এবং রেড সি ছাড়াও সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটি, ভারতের আদানি গ্রুপ ও নেদারল্যান্ডসের এপি টার্মিনালের বিনিয়োগের প্রস্তাবও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর এবং মিরসরাই বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরীর যোগাযোগ স্থাপনে সেতুবন্ধন হবে চট্টগ্রাম বন্দর।
অন্যদিকে কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রাম নগরী ও আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করবে। যেখানে টুইন সিটি হবে, এতে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে শিল্পায়ন হবে। যে কারণে অঞ্চলটি দেশে অন্য রকম চেহারা পাবে। যা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে
এর মধ্যে টানেলের কারণে বিদেশিদের চোখে পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক নতুন সম্ভাবনাও। ইতিমধ্যে বিদেশি সাতটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে বন্দরের কাছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন একটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ প্রস্তাব। যে কারণে টানেলকে ঘিরে নতুন এক পরিকল্পনার দিকে হাঁটছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরেই শুরু হচ্ছে নতুন একটি কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। টানেল কেন্দ্র করে মাত্র ৫ থেকে ১০ বর্গমাইলের মধ্যেই হবে বিশাল এই বিনিয়োগ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম সোহায়েল বলেন, এই টানেলকে কেন্দ্র করে টার্মিনালগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসছে। তবে আগামী ২ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এখানে আরও ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসবে।আরও কিছু বিনিয়োগের প্রস্তাব সরকারের বিবেচনায় রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা খরচে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলচট্টগ্রাম শহর থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার হয়ে মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও গভীর সমুদ্রবন্দরে যাওয়া যাবে।
এছাড়া পতেঙ্গা রিং রোড দিয়ে এটির সাথে সংযোগ হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। এছাড়া চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক ও উড়াল সেতু হয়ে কর্ণফুলী টানেলে বন্দরের ব্যস্ততা বাড়বে বহুগুণ।
Discussion about this post