চট্টগ্রাম,২৩ অক্টোবর, ২০২৩:
ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম আসরে ৯টি দেশের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ ছিল। এরমধ্যে বাংলাদেশ গতকাল সর্বশেষ হেরেছে ভারতের সাথে। ৭ উইকেটের বড় হার। আগের দুই ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। শুধু প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে আফগানিস্তানের সাথে। যে আফগানিস্তান আবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে। শুধু আফগানিস্তানের সাথে জয়ের পর বাংলাদেশ ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, ভারতের মতো দলের কাছে টানা হেরেছে। এখন বাংলাদেশের সাথে প্রথম আসরের ম্যাচ বাকি আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে। এবার দলের সহ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আশা করছেন এই পাঁচটি দেশের সাথে লড়াইয়ে জয় পাবে তারা।
এরমধ্যে ২৪ অক্টোবর আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের খেলা হবে মুম্বাইয়ে। এরপর ২৮ নভেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশ খেলবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল নেদারল্যান্ডসের সাথে। ৩১ অক্টোবর পাকিস্তানের সাথে লড়বে কলকাতায়। ৬ নভেম্বর দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার সাথে খেলবে বাংলাদেশ। ১১ নভেম্বর বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এর প্রথম আসরের সর্বশেষ খেলা বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার।
এসব দলের মধ্যে শুধু নেদারর্যান্ডস ছাড়া সব দলই শক্তিমত্তায় বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। শান্ত আশা করছেন পরবর্তি ৫টি দলের সাথেই জিতবে বাংলাদেশ। ভারতের সাথে খেলার আগে এমন আশার বাণী শুনিয়েছিলেন বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। কিন্তু কেনো লাভ হয়নি। এরপর ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিশাল ব্যবধানে হার গতকালের চতুর্থ ম্যাচে।
এজন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকে দায়ি করছেন গতকাল ভারতের সাথে ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, খুব ভালো ব্যাটিং উইকেটেও বাংলাদেশের ব্যাটিং ছিল একদমই গড়পড়তা।যদিও দুই ওপেনার বাংলাদেশকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন।বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটির রেকর্ডও গড়েন দুজন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান। কিন্তু ভারতের মত দলের বিপক্ষে তাদের যে বড় ইনিংস খেলার দরকার ছিল সেটা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তনজিদ ৫১ রানে আউট হন। আর লিটন দায়িত্বজ্ঞানহীন শট খেলে আউট হন ৬৬ রানে। শান্ত বলেন, ওপেনারদের অন্তত একজন বড় ইনিংস খেললেও চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত।প্রস্তুতি খুবই ভালো ছিল, সত্যি বলতে। আমরা যে জায়গায় ভুগছিলাম, সেটি ভালো হয়েছে। ওপেনিং ভালো হয়েছে। তবে আমি মনে করি, যে দুজন ব্যাটসম্যান সেট ছিল, তাদের আরও লম্বা করা উচিত ছিল। কারণ উইকেট এমন ছিল যে ওখান থেকে একটা ব্যাটসম্যান যদি ১২০-১৩০ রানের ইনিংস খেলত, তাহলে হয়তো শেষের দিকে ব্যাটসম্যানদের কাজ সহজ হতো। কয়েকটি উইকেট আমরা আলগা শট খেলে হারিয়েছি।
অবশ্য নাজমুল হোসেন শান্ত নিজেও স্বীকার করেছেন তিনি ভালো খেলতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ফিফটি করার পর তার আর তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য রান নেই। তিনি বলেছেন, আমি যে পজিশনে ব্যাট করি, অবশ্যই তা গুরুত্বপূর্ণ। তিন নম্বর পজিশনই এমন। তবে চলে গেছে যা, দুই-দিনটি ম্যাচ, চলেই গেছে। সামনের ম্যাচে মনোযোগ দেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৩ বিশ্বকাপের সেমি ফাইনাল খেলার আশা নিয়ে যে দল বিশ্বকাপ আসরে গিয়েছিল সেই দলের এমন করুণ দশা মানতে পারছে না বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। জয় তো নয়ই ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যাণ্ডের সাথে টেক্কা দিতে পারেনি টাইগার বাহিনী।
এখন তাদের সামনে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার মত কঠিন প্রতিপক্ষ। এমনকি নেদাল্যান্ডসের সাথে কতটুকু খেলে জয়ী হতে পারে সেটাও দেখার বিষয়। যদিও শান্ত বলেছেন, এখান থেকে ৪-৫টি ম্যাচ আমরা জিততেও পারি।
Discussion about this post