চট্টগ্রাম, ২০ কানুয়ারি, ২০২৪:
চট্টগ্রামবাসির প্রতি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিনের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে আজ দীর্ঘদিন যাবত আবাসিক গ্রাহকরগণ গ্যাসের জন্য হাহাকার করছেন। সারাদিন গ্যাস থাকে না, রান্না করার উপায় খুঁজে পাচ্ছে না, খেয়ে না খেয়ে দিন যাপন করছেন। জ্বালানি মন্ত্রণালয় চট্টগ্রামের প্রতি যেই বিমাতা সুলভ আচরণ করছে, এটা কারো কাম্য নয়, তারা বোতল জাত গ্যাস বিক্রয় করার জন্য আবাসিক গ্রাহকদের সবসময় হয়রানিমূলক আচরণ করে আসছে। সারাদিন রাত মানুষ গ্যাসের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন, কখন গ্যাস সোনার হরিণ আসবে সে আশায়। মাস শেষ হলে বিল জমা দিতে হয়, অথচ গ্যাস নাই, চট্টগ্রাম কে জাতীয় গ্রিড থেকে বাদ দিয়ে গ্রাহকদের গ্যাস থেকে বঞ্চিত করেছেন।
বিগত ১০ বছর যাবত ২৪ হাজার আবাসিক গ্রাহকের সংযোগ দিবে বলে চুক্তি করে টাকা গ্রহণ করেছেন। অথচ সংযোগ বন্ধ রেখেছেন, বকেয়া গ্যাস বিলের জন্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছেন, ১ বছর বেশি হলে উক্ত গ্রাহককে স্থায়ী বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বাসিদের নূন্যতম নাগরিক সুবিধা ও তাদের প্রাপ্য অধিকার হইতে বঞ্চিত করছেন, এটা মেনে নেওয়া যায় না।
আমাদের দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে আবাসিক গ্যাসের সমস্যার সমাধান করতে হবে। ২৪ হাজার গ্রাহকের নতুন সংযোগ দিতে হবে, ১ লক্ষ প্রিপেইড মিটার স্থাপনে কোনো প্রকার হয়রানি করা হবে না। সরবরাহ নাই তবুও প্রতি মাসে গ্যাসের বিল পরিশোধ করতে হয়, যে সকল গ্যাস সংযোগ পাচ্ছে না সেই সকল এলাকার বিল মওকুফ করতে হবে। বিচ্ছিন্নকৃত গ্রাহকদের সংযোগের ফাইল ঢাকায় পাঠানো যাবে না, চট্টগ্রাম হতে অনুমোদন দিতে হবে। বিচ্ছিন্নকৃত সংযোগ এর মেয়াদ ১ বছরের পরিবর্তে ২ বছর করতে হবে।
উক্ত দাওয়া দাবি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাস্তবায়িত না হলে বড় পরিসরে দাবি নিয়ে গ্যাস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
চট্টগ্রাম গ্রাহক কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর মাহাবুবুল আলম। মানববন্ধনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ আবদুল আজিজ, সমাজ সেবক শাহনওয়াজ শাকু, সহ সভাপতি জানে আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নূরনবী, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, সদস্য মো. শহীদ, আবদুর রহিম, মো. জামাল উদ্দিন, আবুল হাসেম, মো. নুরুল আজম রাসু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি
Discussion about this post