চট্টগ্রাম, ১ ডিসেম্বর, ২০২৪:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ‘এলাকার বাদশা’ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির মূলহোতার অন্যতম সন্দিগ্ধ সহযোগি মো. রিয়াজ উদ্দিন (৪০) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছেন সাতকানিয়া থানা পুলিশ। গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়া পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রিয়াজ উল্লিখিত এলাকার মো. হোসেনের ছেলে এবং পুলিশ কর্তৃক সনাক্তকৃত মূলহোতা মো.এমরানের ভগ্নিপতি। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুমিনুন নিসা খানম এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে রিয়াজকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে মূল হোতা এমরান যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারে বলে ওসি মো.মোস্তফা কামাল খান জানিয়েছেন।
পুলিশ মূল আসামিকে সনাক্ত ও তার অন্যতম সহযোগিকে গ্রেপ্তারের খবরে কেরানিহাটের ব্যবসায়ীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
বিগত দুই মাস ধরে ‘এলাকার বাদশা’ পরিচয় দিয়ে কেরানীহাটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দিলে দুইটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছিল দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা থানায় একটি অগ্নি সংযোগের মামলা, একটি জিডি ও ১৫টি অভিযোগ দায়ের করেন। তবুও ঘটনায় জড়িতরা সনাক্ত না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা এমনকি অনেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যান।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও হুমকি প্রদানকারীর সিমগুলোর সিডিআর ও রেজিস্ট্রেশন পর্যালোচনা করে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা রিয়াজ উদ্দিন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ সময় ঘটনার মূলহোতা তার শ্যালক মো. এমরানের নাম প্রকাশ করেছে। জবানবন্দিতে রিয়াজ ও তার (এমরান) পরিবারের লোকজনের এনআইডি ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করেছে বলে রিয়াজ আদালতকে জানায়।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তফা কামাল খান বলেন, চাঁদাদাবির মূল হোতা এমরান ৬ মাস পূর্বে টেকনাফ এলাকা থেকে একইভাবে ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি প্রদান ও ব্যবসায়ি কামালের দোকানে অগ্নিসংযোগসহ বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে। তার (এমরান) বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
পুলিশ বলছে,যে কোন মুহূর্তে পুলিশের হাতে ধরা পড়বে মূলহোতা এমরান।