চট্টগ্রাম, ১৩ জুন, ২০২৫:
আজ ১৩ জুন সকাল অবধি চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর পদে ছিলেন কেন্দ্রের কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী। সকালে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর পদে থাকা অবস্থায় তাকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া সংসদীয় আসন থেকে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলের প্রার্থী ঘোষণা করেন দলের সেক্রেটারি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তবে বিকালে জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জামায়াতের চট্টগ্রাম মহানগরের ভারপ্রাপ্ত আমীর ঘোষণা করা হয় মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় জামায়াতে ইসলামী।
বলা হয়- ‘আজ (১৩ জুন) বিকেলে বিআইএ মিলনায়তনে ( জামায়াত কার্যালয়) বিশেষ দায়িত্বশীল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিশেষ অতিথি ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুল হাসানাত মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহানসহ চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্যবৃন্দ।
উক্ত দায়িত্বশীল সমাবেশে মুহতারাম আমীরে জামায়াতের পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদে গৃহীত নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত অবহিত করেন :
– বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় জনশক্তি হিসেবে ঘোষণা করেন এবং জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলামকে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মনোনীত করা হয়।’
তবে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন শাহজাহান চৌধুরীও।
শাহজাহান চৌধুরীকে ২০২৪ সালের ২৪ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় কর্মপরিষদের ভার্চুয়ালি সভায় সদস্যদের (রুকন) ভোটে শাহাজাহান চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের আমির নির্বাচিত করা হয়।
চট্টগ্রাম মহানগরে ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব পাওয়া মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং শাহজাহান চৌধুরী উভয়ের বাড়ি সাতকানিয়ায়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, কেন্দ্রে এখন শাহাজাহান চৌধুরীকে দলীয় কার্যক্রমে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয়ভাবে তার প্রয়োজন এখন বেশি। আগে কেন্দ্র ও মহানগর মিলে দ্বৈত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি একটু চাপে থাকতেন। আর আগামী নির্বাচনেও যেহেতু উনাকে সংসদ সদস্য প্রার্থী করা হয়েছে সেখানেও ব্যস্ত সময় পার করতে হবে। তাই উনাকে মহানগর আমিরের পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।